পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি দেশবন্ধু পলিমার তার শেয়ারধারীদেরকে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত ৩০ জুন পর্যন্ত দেশবন্ধু শেয়ার প্রতি ২০ পয়সা আয় করেছে। আগের বছর এই আয় ছিল ১০ পয়সা।
কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৫০টি। এই হিসাবে চলতি বছর তাদের আয় হয়েছে ১ কোটি ২২ লাখ ৭৩ হাজার ৩০ টাকা।
অর্থাৎ এবার যত আয় করেছে, তার দ্বিগুণের বেশি লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই বাড়তি লভ্যাংশ দেয়া হবে কোম্পানিটির রিজার্ভ থেকে।
৬১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানির ২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা রিজার্ভ রয়েছে। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি রিজার্ভ আছে ৫০ পয়সার কাছাকাছি। এর মধ্যে ৩০ পয়সা করে এবার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ।
যারা এই লভ্যাংশ দিতে চান, তাদেরকে আগামী ২৮ অক্টোবর শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে রেকর্ড ডেট।
এই লভ্যাংশ আগামী ১৫ ডিসেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভায় চূড়ান্ত হবে। এই সভা হবে অনলাইনে।
আয় কম হলেও কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্যে উল্লম্ফন হয়েছে। সম্পদ পুনর্মূল্যায়নের পর প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে এই সম্পদ।
দেশবন্ধু পলিমারের আর্থিক বিবরণীর সংক্ষিপ্তসার
২০২০ সালের জুন শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ছিল ১০ টাকা ৪৮ পয়সা। সেটি বেড়ে এখন হয়েছে ১৮ টাকা ৭ পয়সা।
২০১১ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির লভ্যাংশের ইতিহাস খুব একটি ভালো নয়। গত চার বছর ধরেই শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে কেবল ২০১৮ সালে শেয়ার প্রতি ৫৬ পয়সা আয় করতে পেরেছিল। বাকি বছরগুলোতে কখনও কখনও ৫০ পয়সা আয় হয়নি।
এর আগে ২০১৭ সালে ১০ শতাংশ বোনাস দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত যথাক্রমে ১৫ শতাংশ, ৫ শতাংশ, ৫ শতাংশ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়া হয়েছে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে লোকসানের কারণে লভ্যাংশ দেয়া হয়নি।
লভ্যাংশের ইতিহাস ভালো না হলেও কোম্পানিটির শেয়ার দর বরাবরই বেশ ভালো থাকে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন দাম ছিল ২৩ টাকা ৮০ পয়সা।
গত এক বছরে সর্বনিম্ন দাম ছিল ৯ টাকা ৫০ পয়সা। আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ২৭ টাকা ৪০ পয়সা।