বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্কুল-কলেজে এমপিওভুক্তির আবেদন শুরু ১০ অক্টোবর

  •    
  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৭:৫৬

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আবেদন সরাসরি, ই-মেইল বা পত্রের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ অথবা এর অধীনস্থ কোনো দপ্তরে গ্রহণ করা হবে না। বিশেষভাবে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণের সকল কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) এমপিওভুক্ত করতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এমপিওভুক্তির আবেদন করা যাবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুল হাসানের সই করা অফিস আদেশে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।

এমপিও হলো মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার বা মাসিক বেতন আদেশ, যার মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করে সরকার।

আদেশে বলা হয়, সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) এমপিওভুক্ত করার লক্ষ্যে আগামী ১০ অক্টোবর হতে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইট (www.shed.gov.bd), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dshe.gov.bd) এবং বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ওয়েবসাইট (www.banbeis.gov.bd)-এ Online MPO Application শিরোনামে প্রদর্শিত লিংকের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আবেদন সরাসরি, ই-মেইল বা পত্রের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ অথবা এর অধীনস্থ কোনো দপ্তরে গ্রহণ করা হবে না। বিশেষভাবে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণের সকল কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে।

এ পদ্ধতিতে নীতিমালা অনুযায়ী নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে যোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের তালিকা প্রস্তুত করা হবে।

২০১৯ সালে ২ হাজার ৬২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার পর গত বছর আর তা করা হয়নি।

নতুন অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দের যে প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়েছে, তাতে নতুন প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির জন্য ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ২০০ কোটি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ৫০ কোটি টাকা।

২০১৯ সালে ২৩ অক্টোবর ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে চূড়ান্ত বাছাইয়ে ২ হাজার ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ছাড়পত্র পায়। এরপর আবার ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর ছয়টি এবং ১৪ নভেম্বর একটি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়।

দেশে এ পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হয়েছে এমন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। আর এমপিওভুক্ত হয়নি এখনও প্রায় ৭ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও করার জন্য গত ২৯ মে সংশোধিত এমপিও নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশোধিত নীতিমালায় এমপিওভুক্তির জন্য তিনটি শর্ত দেয়া হয়েছে।

শর্তগুলো হলো

শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থী সংখ্যা এবং পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার। এই তিন বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যায় ৩০, পরীক্ষার্থীর সংখ্যায় ৩০ এবং পাসের হারে ৪০ নম্বর রাখা হয়েছে। আগের নীতিমালায় প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতির মেয়াদের ওপর ২৫ নম্বর ছিল, যা সংশোধিত নীতিমালায় বাদ দেয়া হয়েছে।

২০২১ সালের নীতিমালায় কোন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম কতজন শিক্ষার্থী থাকতে হবে, তা বেঁধে দেয়া হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, নিম্ন মাধ্যমিকে শহরে ১২০ ও মফস্বলে ৯০, মাধ্যমিকে শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ৪২০ ও মফস্বলে ৩২০, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে শহরে ২৫০ ও মফস্বলে ২২০ এবং ডিগ্রি কলেজে স্নাতকে শহরে ৪৯০ ও মফস্বলে ৪২৫ শিক্ষার্থী থাকতে হবে। পাসের হার স্তরভেদে ৪৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ করা হয়েছে।

গত ৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে যে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন, তাতে শিক্ষা খাতে ৭১ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৬৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ৫ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর