ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে প্রতারণার মামলায় একদিনের জন্য জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেয়।
কারাগারে থাকা রাসেল ও শামীমাকে এদিন আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ৷ আসামিপক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার এম মনিরুজ্জামান মনির রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড ও জামিন আবেদন নাকচ করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে রাসেল-শামীমাকে একদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী এম মনিরুজ্জামান মনির।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত মামলা দায়ের করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ধানমন্ডি থানাকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেয়।
সেই অনুযায়ী মামলাটি রেকর্ড করে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ এই রিমান্ড আবেদন করা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, বাদী ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের দুই টন এসি এবং ২ হাজার টাকা মূল্যের একটি কাঠের একটি টেবিল অর্ডার করেন। গত বছর ১১ জুলাই এসি বাবদ ৮৫ হাজার এবং ২২ জুলাই টেবিল টেবিলের ২ হাজার টাকা ছাড় বাবদ ২৩ হাজার টাকা পাঠান। পণ্য দুটি ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করবে বলে শর্ত ছিল।
তবে নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পর যোগাযোগ করলেও প্রতিষ্ঠানটি পণ্য দুটি ডেলিভারি করেনি। এজন্য বাদী রাসেল বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি টেবিলের টাকা ফেরত দেয়, কিন্তু এসির বিষয়ে তারা কোনো সমাধান করেনি।
এরপর ২৫ মে বাদী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা বাদীর ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের এসি সরবরাহে অস্বীকার করেন। টাকাও ফেরত দেননি।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা তার কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে পণ্য সরবরাহ না করে এবং পরবর্তীতে পাওনা টাকা ফেরত প্রদানে অস্বীকার করে অপরাধ করেছে।