পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠটি রক্ষার দাবিতে সদরঘাটগামী জনসন রোড অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলও করেন তারা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মাঠ রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে ১২টা নাগাদ ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর এক ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে সড়ক ছেড়ে দেন তারা। সড়ক অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয় সিএমএম কোর্ট ও সদরঘাট এলাকায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভলিবল দলের সদস্য আন্তাজ হেনা আঁখি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাঠ আমাদের। প্রকল্পের নামে আমাদের মাঠ ছিনিয়ে নেয়া চলবে না। সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদের মাঠ ফিরিয়ে দেয়া হোক। আজ আমরা পুলিশের অনুরোধে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি। তবে সিটি করপোরেশন খোঁড়খুড়িঁ বন্ধ করে আমাদের মাঠ বুঝিয়ে না দেয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল দলের সদস্য আসাদুজ্জামান রাজু বলেন, ‘মাঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে না লিখে দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সবার সাথে আলোচনা করে বিকেলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে সিটি করেপোরেশনের কাজ বন্ধ করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছিল। আমাদের সঙ্গে থানা থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নেয়ার জন্য। পরে তারা অবরোধ তুলে নিয়েছে।’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমানকে ফোন দেয়া হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন রেখে দেন।
১৯৮২ সাল থেকে মাঠটি ব্যবহার করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও তিন ভাগে বিভক্ত মাঠটির অপর দুই অংশের একটি ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব ও অপর অংশটি স্থানীয়দের জন্য উন্মুক্ত ছিল। একমাত্র খেলার মাঠ বেহাত হওয়ার শঙ্কায় ক্ষুব্ধ জবির সাবেক শিক্ষার্থীরাও। এই মাঠেই ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সূত্র জানিয়েছে, ধূপখোলা মাঠের মেগা প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- একটি বহুতল মার্কেট, খেলার মাঠ, হাঁটার ব্যবস্থা, ক্যাফেটরিয়া, পার্কিং স্পেস ইত্যাদি।