বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কম কষ্টে বেশি লাভের তিল

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৬:৩৬

মতিউর মাতুব্বর নামে এক কৃষক বলেন, ‘জমিতে নিড় দিতে হয় না। কোনো রকম বীজ বুনে রেখে দেই। তাতেই ফলন ভালো হয়েছে, কিন্তু বৃষ্টির পানি জমলেই গাছ মরে যায়। এটা একটা বড় সমস্যা।’

খরচ কম, কষ্টও কম। তবে লাভ বেশি। এ কারণে মাদারীপুরের তিল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা।

ফলন ভালো হওয়ায় প্রতিবছরই এই জেলায় বাড়ছে তিলের আবাদি জমির পরিমাণ ও চাষির সংখ্যা। সরকারিভাবে উচ্চফলনশীল বীজ বিতরণ ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়া হলে তিল চাষে আরও অনেকে আগ্রহী হবেন বলে আশা চাষিদের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, দেড় থেকে ২ হাজার টাকা খরচ করে প্রতি বিঘায় ৮ থেকে ১০ মণ তিল পাওয়া যায়। সাধারণত উঁচু ও পতিত জমিতে তিল চাষ ভালো হয়। নিচু জমিতে বৃষ্টির পানি জমলে বা জলাবদ্ধতা হলে তিল নষ্ট হয়ে যায়।

তিল চাষের জন্য সার, কীটনাশক বা সেচ দিতে হয় না। আগাছাও পরিষ্কার করতে হয় না। তিল উত্তোলনের কাজ শুরু হয় জুলাইয়ের শেষ দিকে। চলে পুরো আগস্ট জুড়ে।

কৃষকরা জানান, তিল চাষ করে প্রতি বিঘা থেকে লাভ আসছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।

সদর উপজেলার ধুরাইল গ্রামের তিলচাষি গনি মিয়া বলেন, ‘তিল চাষে খরচ কম, আয় বেশি। আমাদের এলাকায় তিল চাষ নতুন নতুন শুরু হয়েছে। এখনও কৃষকরা ভালোভাবে এই ফসলের বিষয়ে তেমন জানেন না।

‘আমার তিন বিঘা জমিতে তিল চাষ করেছি। প্রায় ৭০ হাজারের ওপর টাকা এসেছে। প্রতিবছরই আমি তিল চাষ করব।’

মতিউর মাতুব্বর নামে আরেক কৃষক বলেন, ‘জমিতে নিড় দিতে হয় না। কোনো রকম বীজ বুনে রেখে দেই। তাতেই ফলন ভালো হয়েছে, কিন্তু বৃষ্টির পানি জমলেই গাছ মরে যায়। এটা একটা বড় সমস্যা।’

মাদারীপুর জেলা কৃষি কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, এ বছর জেলায় ৭৫০ হেক্টর জমিতে তিল চাষ হয়েছে। বৃষ্টিতে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবুও প্রায় ৮২৫ টন তিল উৎপাদন হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, ‘এখন বাজারে তিলের দাম হচ্ছে মণপ্রতি ২ হাজার ২০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা। এটি খুবই ভালো দাম। চাষি ভাইরা তিল বিক্রি করে অনেক লাভবান হয়েছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর