বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদেশি চ্যানেলে ক্লিনফিড নিশ্চিতে মোবাইল কোর্ট

  •    
  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৬:২২

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ক্লিনফিডের ব্যাপারে যারা ডাউনলিংকের অনুমোদন পেয়েছে তাদের সেটা জানিয়ে দিয়েছিলাম যে ১ অক্টোবর থেকে আমরা আইন প্রয়োগ করব। দিনের পর দিন তারা সময় নেবে এটি হয় না। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান নেপালেও এ নিয়ে কড়াকড়ি আছে।’

দেশে সম্প্রচারে থাকা বিদেশি চ্যানেলগুলোতে ক্লিনফিড (বিজ্ঞাপন বা অন্যান্য বাণিজ্যিক কনটেন্ট ছাড়া সম্প্রচার) নিশ্চিতে কেবল অপারেটরদের বাধ্য করতে শুক্রবার থেকে দেশজুড়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হবে।

সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল থেকে আমরা সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করব। শুধু ক্লিনফিড নয়, মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে টেলিভিশন মালিক ও কেবল অপারেটরদের সমঝোতার মাধ্যমে আমরা যে ক্রম ঠিক করেছিলাম, কোনোভাবে সেটির যদি ব্যত্যয় হয়, অপারেটররা যদি আইন ভঙ্গ করে নিজেরা কোনো বিজ্ঞাপণ প্রচার করে কিংবা অনুষ্ঠান প্রদর্শন করে বা আইনের অন্য কোনো ব্যত্যয় দেখায় সেগুলো কেবল অপারেটর ও ডিস্ট্রিবিউটরের ওপরই বর্তাবে।

‘আইন ভঙ্গ করলে আগামীকাল থেকেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেহেতু মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হবে। তাদের জুরিডিকশন আছে তারা কী করতে পারে। কোর্ট সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’

অক্টোবর থেকে চ্যানেলগুলোতে ক্লিনফিড নিশ্চিত করা হবে বলে সেপ্টেম্বরের শুরুতেই জানিয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা ক্লিনফিডের ব্যাপারে যারা ডাউনলিংকের অনুমোদন পেয়েছে তাদের সেটা জানিয়ে দিয়েছিলাম যে ১ অক্টোবর থেকে আমরা আইন প্রয়োগ করব। দিনের পর দিন তারা সময় নেবে এটি হয় না। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান নেপালেও এ নিয়ে কড়াকড়ি আছে।

‘আমাদের দেশে যারা বিদেশি চ্যানেল তারা ক্লিনফিড পাঠাচ্ছে না এ অজুহাতে দেখাবে না, এটা হয় না। আমি ভারতে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকেও বলে এসেছি ১ অক্টোবর থেকে আমরা আইনের কড়াকড়ি প্রয়োগ করতে যাচ্ছি।’

ক্লিনফিড নিশ্চিত করা হলে দেশে কোনো বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচারে বিদেশি কোনো বিজ্ঞাপন বা অন্যান্য কোনো বাণিজ্যিক কনটেন্ট থাকবে না। বিষয়টি নিশ্চিত করতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল অ্যাটকো, টিভি চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউটর ও কেবল অপারেটররা।

সম্প্রতি একযোগে সব অনলাইন নিউজপোর্টাল বন্ধের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বিষয়টিকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটা আসলে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। বিটিআরসি অনেকগুলো অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করে দিয়েছিল। এর মধ্যে দেখা গেল নিবন্ধিত ও সরকারি ওয়েব পোর্টালও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এটি দ্রুততার সঙ্গে নিরসন হয়েছে।

‘আমাদের তরফ থেকে আমরা তালিকা পাঠাব কোনগুলো বন্ধ করতে হবে। অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করা একটি চলমান প্রক্রিয়া। অনুমোদন দেয়াও একটি চলমান প্রক্রিয়া। অনলাইন যেগুলো গর্হিত কাজ করে বা সৎ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয় না… ভুল করতে পারে, কিন্তু গুজব রটায় যারা সেগুলো বন্ধ করা চলমান প্রক্রিয়া।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি আজ বা কালকের মধ্য বিটিআরসিকে একটি তালিকা দিতে। আমাদের কাছ থেকে যে তালিকা তারা পাবে সেগুলো তারা বন্ধ করে দেবে। আর কোর্টকেও আমরা জানাব, এটি চলমান প্রক্রিয়া।।’

এ বিভাগের আরো খবর