নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম রতনকে আটক করা হয়েছে।
তাকে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক।
সিরাজুল ইসলাম রতনের বাড়ি সদর উপজেলার রাজারাম ঘোষ এলাকায়। তিনি উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
তার ১৬ বছরের মেয়ে জানিয়েছে, দুই বছরের বেশি সময় ধরে তাকে ধর্ষণ করা হচ্ছিল। তার মা বিষয়টি জেনে ফেলায় স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন রতন। এর মধ্যে একদিন তার স্ত্রীর মরদেহ পাওয়া যায় বাড়িতে। রতন সবাইকে জানান, স্ত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।
মেয়েটি আরও জানায়, মায়ের মৃত্যুর পর আবার বিয়ে করেন তার বাবা। তবে ধর্ষণ থেমে থাকেনি। কিছুদিন আগে মোবাইল ফোনে পুরো বিষয়টির বর্ণনা দিয়ে অডিও রেকর্ড করে সে। গ্রামের পরিচিত কয়েকজনকে সেই রেকর্ডিং পাঠায়। তখন বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হয়।
মো. খোকন নামের স্থানীয় একজন গত ২৫ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বুধবার রাতে রতনকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় নেয় পুলিশ।
রতনের দাবি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।
উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম বেল্লাল হোসেন জানান, রতনের বিরুদ্ধে আগেও নারীদের জড়িয়ে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল। এবার এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি এ কে ফজলুল হক জানান, অভিযোগের সত্যতা পেলে রতনের নামে মামলা দেয়া হবে।