আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জাকে বাদ দিয়ে নোয়াখালী আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা জেলা কমিটির সহসভাপতি পদে ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার অনুমোদনে এই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয় বৃহস্পতিবার দুপুরে।
সাবেক সভাপতি খায়রুল আনাম সেলিমকে আহ্বায়ক করে জেলা আওয়ামী লীগের ৮৭ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কাদের মির্জার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে এতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
ঘোষিত কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহীন ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদুল্লাহ খান সোহেল।
বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের আগে দলের নেতাদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন মেয়র কাদের মির্জা। শুরুতে কারও নাম উল্লেখ না করলেও পরে তিনি জানান, তার এসব বক্তব্য নোয়াখালী আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে।
পরে স্পষ্ট হয়ে ওঠে এমপি নিজাম ও একরাম চৌধুরীর সঙ্গে কাদের মির্জার বিরোধ।
এই বিরোধের জেরে কাদের মির্জা ও একরামের অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। ঘটেছে প্রাণহানিও।
দলের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে ২৪ জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে জেলা আওয়ামী লীগ।
এরপর প্রতিনিয়তই নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে বিতর্কিত নানা মন্তব্য করে আসছিলেন কাদের মির্জা, সমালোচনা করেন নিজের ভাই ওবায়দুল কাদেরেরও।
এমন এক ফেসবুক লাইভেই গত ৩১ মার্চ আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আর নির্বাচন করবেন না বলেও জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করলাম। ভবিষ্যতে কোনো রকম কোনো জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। ভবিষ্যতে আমি কোনো রকম কোনো দলীয় পদ-পদবির দায়িত্ব নেব না।’
এর ঠিক দেড় মাস পর বসুরহাট পৌর মিলনায়তনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগে ফেরার ঘোষণাও দেন কাদের মির্জা।
তিনি তখন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রিন সিগন্যালে আমি আবারও আওয়ামী লীগের ছায়াতলে ফিরে এলাম। অন্য যারা আমাদের সঙ্গে আসতে চান আমরা তাদের স্বাগত জানাব।’