সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ‘নির্যাতনে’ রায়হান আহমেদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়ার প্রায় পাঁচ মাস পর তা গ্রহণ করেছে আদালত। মামলার পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমানের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।
সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আবুল মোমেন বৃহস্পতিবার এই মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
এ সময় প্রধান আসামি বহিষ্কৃত এসআই আকবর হোসেন ভুইয়াসহ পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের আদালত পরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র দাশ নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৫ মে আলোচিত এই মামলায় আকবরসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
তারা হলেন, বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, হারুনুর রশিদ ও সাংবাদিক পরিচয় দেয়া আব্দুল্লাহ আল নোমান।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছেন এসআই আকবর, কনস্টেবল হারুন ও টিটু এবং এএসআই আশেক এলাহী।
এ ছাড়া আলামত গোপনের অভিযোগে আসামি এসআই মো. হাসান উদ্দিন ও স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে পেনাল কোড ২০১ ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
সিলেট নগরীর আখালিয়ার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে গত বছরের ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করেন ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পুলিশ সদস্যরা। পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
রায়হানের পরিবারের অভিযোগ, টাকার দাবিতে তাকে ফাঁড়িতে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতন করা হয়। ভোরে রায়হানের চাচা টাকা নিয়ে ফাঁড়িতে গেলেও এর আগেই তার মৃত্যু হয়।
পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবিতে চলে নানা কর্মসূচি।
সে ঘটনার পরদিন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।