যশোরে অনলাইন এমএলএম প্রতিষ্ঠান ‘এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেসের’ এজেন্ট পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে রাসেল হোসেন নামের তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের বাগেরহাট বাজার থেকে গত মঙ্গলবার বিকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হলে র্যাব বিষয়টি সংবাদকর্মীদের জানিয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে।
রাসেলের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছার মির্জাপুর গ্রামে।
র্যাব জানায়, টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে রাসেলসহ ১৩ জনের নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছিলেন সদর উপজেলার করিচিয়া গ্রামের ইমামুল ইসলাম নামের এক তরুণ। সেই মামলায় রাসেলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার থানায় হস্তান্তর করা হবে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলামিন প্রধান, তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর শারমিন আক্তার ও ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইসহাকসহ ১২ কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০ থেকে ২৫ জনকেও আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসে এসপিসি ওয়ার্ল্ডে বিনিয়োগের বিষয়ে ইমামুলের আলাপ হয় রাসেলের সঙ্গে। রাসেল নিজেকে প্রতিষ্ঠানটির এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি জানান, অ্যাপের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করলে মাসে ৩০০ টাকা করে পাওয়া যাবে।
রাসেল তাকে জানান, এই অ্যাপের মাধ্যমে ফেসবুকের বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে কাজ করতে হবে। সে জন্য ১২০০ টাকা দিয়ে কিছু ফেসবুক আইডি কিনতে হবে। তার কথায় ইমামুল ৩৬ হাজার ২৫০ টাকা দিয়ে বেশ কিছু আইডি কেনেন। তার দেখাদেখি এলাকার আরও সাতজন রাসেলে মাধ্যমে ওই অ্যাপে টাকা বিনিয়োগ করেন।
- আরও পড়ুন: ই-কমার্সের আড়ালে এমএলএম ব্যবসা
ইমামুলের অভিযোগ, ছয় মাস পর তিনি দেখেন অ্যাপে তার ওয়ালেটে ৫৪ হাজার টাকা জমা হয়েছে। সেই টাকা ক্যাশআউটের চেষ্টার জন্য রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে বলা হয় টাকা এক সময় পাওয়া যাবে। এরপর খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া।
এরপর ইমামুল বিষয়টি র্যাব ও কোতোয়ালী থানা পুলিশকে জানায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকালে রাসেলকে বাগেরহাট বাজারে ডাকেন ইমামুল। সেখানে টাকা ফেরত চাইলে তিনি ইমামুলকে জানান, টাকা তোলা যাচ্ছে না। তখনই র্যাব সদস্যরা তাকে আটক করে হেফাজতে নেয়।