বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘চড় দেইনি, ধাক্কা দিয়েছি’

  •    
  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০১:৩৯

বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন বলেন, ‘আমি সভাস্থলে পৌঁছালে নজরুল ইসলাম নিজের ভুল বুঝতে পেরে আমার কাছে ক্ষমা চান। এ সময় আমি নজরুলকে ধাক্কা দিয়ে বলি ‘ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু ওই ঘটনাকে বিকৃত করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর প্রচার করা হচ্ছে, যা দুঃখজনক।’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলামকে গালাগালি ও চড়-থাপ্পড় দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন।

বুধবার বরগুনা সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এমপি রিমন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও মৎস্য ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে চড়-থাপ্পড় দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি তাকে ধাক্কা দিয়েছি, থাপ্পড় দেইনি।’

শওকত হাচানুর রহমান রিমন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। দলীয় সংসদ সদস্যের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এমপি রিমন। বক্তব্যে তিনি পাথরঘাটার মাছ ব্যবসায়ী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলামকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘গত ২৪ সেপ্টেম্বর কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে আমার বিরুদ্ধে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া ২৫ সেপ্টেম্বর একটি টিভি চ্যানেলে একই নিউজ প্রচারিত হয়। ওই সব নিউজে দেখানো হয়েছে, আমার গাড়িবহরকে সাইড না দেয়ায় আমি নজরুল ইসলামকে চড়-থাপ্পড় দিয়েছি, যা আদৌ সত্যি নয়।

২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে আমি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ছাত্রলীগ আয়োজিত ফুটবল খেলার প্রধান অতিথি হিসেবে মোটরসাইকেলে রওনা দিই। পথিমধ্যে নজরুল ইসলাম একটি মাইক্রোবাস আমার সামনে সামনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে চালাচ্ছিলেন। আমার বহরে থাকা ছাত্রলীগ নেতা সামনে গিয়ে সাইড না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম আমার সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেন, যা আমি বলতে চাই না।

আমি সভাস্থলে পৌঁছালে নজরুল ইসলাম নিজের ভুল বুঝতে পেরে আমার কাছে ক্ষমা চান। এ সময় আমি নজরুলকে ধাক্কা দিয়ে বলি ‘ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই।' কিন্তু ওই ঘটনাকে বিকৃত করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর প্রচার করা হচ্ছে, যা দুঃখজনক।

নজরুল সম্পর্কে এমপি রিমন বলেন, ‘পাথরঘাটার মানুষের মধ্যে সে বোমা নজরুল, টপ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে সাতটি মামলা চলমান।' এ সময় তিনি প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষরা সব সময় আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য অসত্য তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করায়।’

নজরুল দলের কেউ নন উল্লেখ করে রিমন বলেন, ‌'বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে নজরুল ইসলাম সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। কিন্তু আমার জানা মতে, তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এ ছাড়া তিনি মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতিরও নেতাও নন। নজরুল ইসলাম পাথরঘাটা বিএফডিসির মৎস্য বাজার ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের ১০০ নম্বর সদস্য।'

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করে এমপি রিমন বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা একের পর এক আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কারো দ্বারা বাধ্য হয়ে আমার বিরুদ্ধে নিউজ করলে কষ্ট পাই, আপনারা যখন যা কিছু শোনবেন, দেখবেন এবং আমার সাক্ষাৎকার নিয়ে নিউজ করলে দুঃখ থাকবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসেনসহ বরগুনার বেতাগী, বামনা পাথরঘাটার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন এমপি রিমন। নজরুলকে চড় দেয়ার বিষয়টি ঘটনার দিন সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করলেও এখন অস্বীকার করা প্রসঙ্গে এমপি রিমন বলেন, ‌'সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা, পৌর মেয়রসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া স্থানীয় কেব্‌ল নেটওয়ার্ক সরাসরি সম্প্রচার করেছিল খেলাটি। আমি থাপ্পড় দিয়েছি কি না আপনারা দেখুন যাচাই করে।'

কেন তবে এমন অভিযোগ, উত্তরে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত লবিস্ট নিয়োগ করে আওয়ামী লীগের এমপিদের চরিত্র হননের চেষ্টা করছে। এ ছাড়া আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত। তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে আমার বদনাম করার জন্য।’

এ বিভাগের আরো খবর