ইলিশ ধরতে সাগরে যাওয়ার পর ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ১৮ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ভোলার চরফ্যাশন থেকে যাওয়া ওই জেলেদের বুধবার সকালে উদ্ধার করে নোয়াখালীগামী একটি মাছ ধরার ট্রলার। চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নের শিবচর এলাকায় ভাসতে থাকা অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজ ১৮ জেলেকে উদ্ধারের তথ্য বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার।
তিনি জানান, নোয়াখালীগামী মাছ ধরার একটি ট্রলার ‘এফবি মা জননী-২’ নামের ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১৮ জেলেকে উদ্ধার করে।
মারুফ হোসেন জেলেদের বরাত দিয়ে জানান, তলা ফেটে মঙ্গলবার সাগরমোহনায় ডুবে যায় ট্রলারটি। পরে ১৮ জেলে উল্টে যাওয়া ট্রলার ধরে প্রথমে ভাসতে থাকেন। একপর্যায়ে নৌযানটি ডুবে গেলে জেলেরা ট্রলারে রাখা জাল ভাসানোর বাতাসভর্তি ড্রাম নিজেদের শরীরে বেঁধে নেন। ভাসতে ভাসতে তারা ঢালচরের কাছাকাছি আসার পর তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহিউদ্দিন মাঝি, মো. দুলাল, সাজাহান মুন্সি, আবদুল মুনাফ, মোসলেহ উদ্দিন, মো. ওবায়দুল্লাহ, মো. নুরনবী, হাবিবুল্লাহ মিঝি, মো. আজাদ, মো. রুবেল, মো. আলমগীর, মো. জাকির, মো. সাজাহান, মো. ফরিদ, মো. বেলায়েত, জাহানপুর ইউনিয়নের মো. জসিম এবং দৌলতখান উপজেলার মো. মঞ্জু। উদ্ধার আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।
ট্রলারটির মালিক হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের মাইনুদ্দিন মৎস্যঘাটের জেলে মহিউদ্দিন মিয়া।
উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মালেক মিয়া জানান, গত শুক্রবার বিকেলে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪ জন, জাহানপুর ইউনিয়নের একজন এবং দৌলতখান উপজেলার দুজন জেলে ওই ট্রলার নিয়ে মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যান।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে ট্রলারটির তলা ফেটে গেছে বলে মালিক মহিউদ্দিন তার ভাই খলিলকে ফোনে জানান। খলিলকে ভাসানচরের পূর্ব দিকে মেঘনায় একটি ট্রলার নিয়ে জেলেদের উদ্ধারের জন্য বলেন মহিউদ্দিন। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকায় এবং বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে ঘাট থেকে কেউ ওই জেলেদের উদ্ধারে যেতে পারেননি।
মহিউদ্দিনের ভাই খলিল মাঝি বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া ১৮ জনকে নিয়ে আমার ট্রলারে করে ঢালচর থেকে রওনা দিয়েছে হাজারীগঞ্জ ঘাটের দিকে। সবাই সুস্থ আছেন।’