মহামারি শুরুর পর চাপে পড়লেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করে লভ্যাংশও বাড়িয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চামড়া খাতের কোম্পানি অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ৩৫ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি সাড়ে তিন টাকা নগদ। বাকি ৫ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ প্রতি ১০০ শেয়ারে ৫টি শেয়ার পাবেন বিনিয়োগকারীরা।
বুধবার কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২০০৭ সালের পর এই প্রথম কোম্পানিটি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করল। ওই বছর ৫০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি দুই বছরে একটি বোনাস শেয়ার দিয়েছিল অ্যাপেক্স। এরপর থেকে প্রতি বছরই দেয়া হয়েছে নগদ লভ্যাংশ।
কোম্পানির প্রকাশ করা প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৯ টাকা ৩৬ পয়সা।
আগের বছরের মার্চে করোনার আঘাতের পর সাধারণ ছুটির ধাক্কায় অ্যাপেক্সের আয় ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছিল। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৫ টাকা ৬২ পয়সা।
ওই বছর শেয়ার প্রতি আড়াই টাকা লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারধারীরা।
তার আগের বছর অ্যাপেক্স শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ১০ টাকা ৯১ পয়সা। ২০২০ সালে আয় অর্ধেকে নেমে আসার পেছনে কারণ ছিল চতুর্থ প্রান্তিকে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত লোকসান দেয়া।
সে সময় সাধারণ ছুটিতে অ্যাপেক্সের প্রায় সব বিক্রয়কেন্দ্র ছিল বন্ধ। ফলে তাদের আয়ের সুযোগ ছিল না। কিন্তু খরচ হয়েছে ঠিকই। ওই তিন মাসে শেয়ার প্রতি ৭২ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
তবে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে বেশ কয়েকটির লকডাউন ও শাটডাউনে বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ থাকলেও অনলাইনে কেনাবেচায় জোর দিয়ে অ্যাপেক্স ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে।
এই বছরের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৪ টাকা ৬৮ পয়সা। চতুর্থ প্রান্তিকে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত নানাভাবে চলাচলে বিধিনিষেধ থাকার পরেও এই প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয় ৪ টাকা ৬৮ পয়সা।
যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে আগামী ২১ অক্টোবর শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন রেকর্ড ডেট থাকবে।
আগামী ২২ নভেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভায় এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত হবে। এই সভা হবে অনলাইনে।