ছয় বছর আগে রাজধানীর গাবতলীতে এক বাসে পরিত্যক্ত ট্রাঙ্কে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধার হয়। দারুসসালাম থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার একমাত্র আসামি তরুণীর কথিত স্বামী রেজাউল করিম স্বপনের জামিন নাকচ করেছে আদালত।
বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম শহীদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আসামি পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী আল মাহমুদ খান, মো. পারভেজ ও মঞ্জুরুল কবির মাসুদ।
জামিন আবেদনে বলা হয়, ‘অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধার করার ঘটনায় মামলাটিতে আসামিকে গ্রেপ্তার করে ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।’
মামলার আসামি শনাক্ত না হওয়ায় তদন্ত করে গত ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন সিআইডি পুলিশের গুলশান ইউনিটের পরিদর্শক মো. মকবুল হোসেন।
চুড়ান্ত প্রতিবেদনের দুই বছর পরে এসে সন্দেহের ওপর ভিত্তি করে আসামি রেজাউল করিম স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জামিন দিলেও আসামির স্থায়ী ঠিকানা দেয়ায় পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানান তার আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন দারুসসালাম থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান আসাদ।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম জামিন আবেদন নাকচ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) দীর্ঘ তদন্তের পর গত ২৪ সেপ্টেম্বর তরুণীকে হত্যার ঘটনায় রেজাউল করিম স্বপন ওরফে রাজকে গ্রেপ্তার করে।
চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে ২০১৫ সালের ২ মে গভীর রাতে খুনের শিকার হন খুলনা দৌলতপুরের তরুণী শম্পা বেগম। কথিত স্বামী রেজাউল করিম স্বপন তাকে হত্যার পর মরদেহ ট্রাঙ্কবন্দি করে একটি বাসে তুলে দেন। যা ঢাকার গাবতলীতে উদ্ধার হয়।
পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করে শম্পার হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে। গ্রেপ্তার করেছে তার কথিত স্বামী রেজাউল করিম স্বপনকে। আসামির স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে, শম্পাকে হত্যা ও মরদেহ গুমের নানা চেষ্টার তথ্য।