সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্মতি পাওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠান রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় সমান সুযোগ পাবে। এ জন্য একটি উচ্চপদস্থ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সমতা নির্ধারণের জন্য গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। যদিও করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য ছয়টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। তারা সমন্বয় করে কাজ করবে। সবাই সমান পরিমাণ যাত্রীর নমুনা পরীক্ষার সুযোগ পাবে।’
এ সময় তিনি জানান, যদি ১২টি নমুন পরীক্ষার প্রয়োজন হয় তবে ছয় প্রতিষ্ঠানকে দুটি করে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সব ল্যাবে পরীক্ষার মূল্য একই জানিয়ে এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, ‘এটা নিয়ে বিভ্রান্তি ছিল। এক-একটা ল্যাবের পরীক্ষার মূল্য এক এক রকম ছিল। এটা দূর করা হয়েছে। প্রতিটি নমুনা পরীক্ষা এখন ১ হাজার ৬০০ টাকা করে। তাই বিভ্রান্তির সুযোগ নেই।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘শাহজালালে বসানো আরটি-পিসিআর ল্যাবগুলো থেকে যাত্রার ৬ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করতে হবে যাত্রীদের। তাই আর দুই ঘণ্টা আগে বিমানবন্ধনে আসতে হবে। আমাদের এখানে ১০টা বুথ রয়েছে। নমুনা পরীক্ষার পর ৩ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রীদের করোনা সনদ দেয়া হবে।’
যে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করা হয়েছিল সেগুলো হলো স্টেমজ হেলথ কেয়ার (বিডি) লিমিটেড, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড এবং ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।
এগুলোর মধ্যে স্টেমজ হেলথ কেয়ার (বিডি) লিমিটেড ও সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার করোনার ভুয়া সনদ দেয়ার কারণে তাদের কার্যক্রম কিছুদিন বন্ধ রেখে আবার চালু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।