বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবার নূরুল হুদার মতো নির্বাচন কমিশনার চায় সরকার: রিজভী

  •    
  • ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:৫৬

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘তারা তো আবারও কে এম নূরুল হুদার মতো ব্যক্তিকে নির্বাচন কমিশনার বানাবে। তাছাড়া কাউকে নির্বাচন কমিশন বানাবে না। আজকে ডাকাতির নির্বাচন চান প্রধানমন্ত্রী। সে নির্বাচনের বৈধতা দেন তার মন্ত্রী-এমপি আর সাঙ্গপাঙ্গরা। সুতরাং নিরপেক্ষ নির্বাচন কেমনে হবে?’

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বহুল আলোচিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আবারও নির্বাচন করতে চায় সরকার। এ জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার মতো ব্যক্তিকে আবারও কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনে যেতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে বুধবার দুপুরে ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন এবং জনআকাঙ্ক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ অভিযোগ করেন তিনি।

আলোচনা সভা আয়োজন করে ‘জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১‘ কেন্দ্রীয় কমিটি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী বলেন, ‘দেশে স্বচ্ছ নির্বাচন হবে এটাই হচ্ছে জনআকাঙ্ক্ষা। জনগণ যাকে ইচ্ছা ভোট দেবে। কারণ, জনগণ দেশের মালিক। এটা তো সরকার ভুলে গেছে।’

আলোচিত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার থাকা কে এম নূরুল হুদা নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের হয়ে নির্বাচন করেছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।

তিনি বলেন, ‘তারা তো আবারও কে এম নূরুল হুদার মতো ব্যক্তিকে নির্বাচন কমিশনার বানাবে। তাছাড়া কাউকে নির্বাচন কমিশন বানাবে না। আজকে ডাকাতির নির্বাচন চান প্রধানমন্ত্রী। সে নির্বাচনের বৈধতা দেন তার মন্ত্রী-এমপি আর সাঙ্গপাঙ্গরা। সুতরাং নিরপেক্ষ নির্বাচন কেমনে হবে?’

সম্প্রতি বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ ৫২ জন এক বিবৃতিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন আইন করে নিরপেক্ষ প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিতে বিবৃতি দিয়েছেন।

বিএনপি নেতারাও বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। তারাও আগামী নির্বাচনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করেছে। যদিও আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন।

এই সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে না বলে বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রিজভী আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশকে ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের সংকট নিরসনে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ করতে হবে। সেই সঙ্গে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করলেও এই সংকট থেকে উত্তরণ করা যাবে।’

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনকে ‘অতি বাড়াবাড়ি’ বলেছেন। রিজভী বলেন, ‘দেশের পত্রিকা ও টিভিতে শুধু একজনেরই খবর। তিনি আজ প্রধানমন্ত্রী নন; তিনি সম্রাজ্ঞী, রাণী। এভাবে কোনো গণতান্ত্রিক দেশে প্রধানমন্ত্রী বা কারও এমন প্রচারণা হয় বলে জানা নেই। আজকে তিনি সুলতানা রাজিয়া সেজেছেন। সেভাবেই তার জন্মদিন পালন করলেন। এমনকি সুশীল বলে পরিচিত কিছু পত্রিকার কাভার পৃষ্ঠা জুড়ে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছেপেছে।’

রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ১১ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেলো, সেটা নিয়ে তো কথা বলে না। সেই টাকা দিয়ে মালয়েশিয়া, কানাডায় বেগম পল্লী কেনা হচ্ছে। দুবাইয়ে, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রে ও যুক্তরাজ্যে বিলাসবহুল বাংলো কেনা হচ্ছে। কারণ এ দেশে যদি কোনো কিছু ঘটে তাহলে তারা আরব্য রজনীর আলিফ লায়লার মতো সুখে শান্তিতে বিদেশে বসবাস করতে পারবেন। এটাই হচ্ছে তাদের লক্ষ্য।’

অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘সার্বজনীন ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য নয়; দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে আন্দোলনে নামতে হবে। তবেই জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।’

বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ বলেন, ‘এ সরকার ভোট, গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হেনেছে। আজকে নব্য বাকশাল কায়েম করে একদলীয় শাসন চালাচ্ছে। আসলে তারা জনগণের সরকার নয়। তাদের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যায় না। যে যত কথা বলুক, জনগণের দুশমন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ছাড়া দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।’

সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু, ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী রাহেলা আক্তার রঞ্জুসহ আরও অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর