বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সূচক বাড়ছে, শেয়ার মূল্য কমছেই

  •    
  • ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:১৩

সূচক ৫ পয়েন্ট বাড়লেও ১১৫টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২২৩টি শেয়ারের দর। আগের দিনও ১৬৪টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ১৭২টির দরপতনেও সূচক বেড়েছিল ৪৫ পয়েন্ট। তারও আগের দিন ১৪১টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছিল ২০১টির দর। সূচক বেড়েছিল ১৪ পয়েন্ট।

টানা তিন দিন সূচক বাড়ল পুঁজিবাজারে। তবে এতে ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীরা স্বস্তিতে, এমন নয়। সূচক বাড়ছে বড় মূলধনি অল্প কয়েকটি শেয়ারের দর বৃদ্ধির কারণে। কিন্তু স্বল্প মূলধনি, লোকসানি কিছু কোম্পানি, যেগুলোতে গত কয়েক মাসে বিনিয়োগ করে আটকে গেছেন ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীরা, সেগুলোর দাম ক্রমেই কমছে।

সপ্তাহের চতুর্থ দিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট। কিন্তু ১১৫টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২২৩টি শেয়ারের দর।

আগের দিনও বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতনের পরও সূচক বেড়েছিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। সেদিন ১৬৪টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ১৭২টির দরপতনেও সূচক বেড়েছিল ৪৫ পয়েন্ট।

তারও আগের দিন ১৪১টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছিল ২০১টির দর। সূচক বেড়েছিল ১৪ পয়েন্ট।

এ অবস্থা চলছে বলতে গেলে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই।

বড় মূলধনি বেশ কিছু কোম্পানি, সঙ্গে বহুজাতিকের দর বৃদ্ধিতে সূচকে এই সময়ে পয়েন্ট যোগ হলেও বেশির ভাগ কোম্পানি দর হারিয়ে ফেলায় বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওর স্বাস্থ্য ক্রমেই কমছে।

বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা বেশি বলে সেগুলোর দর বৃদ্ধির কারণে সূচকে যোগ হয় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পয়েন্ট। কিন্তু যেগুলোর শেয়ার দর কম, সেগুলোর প্রভাব সূচকে পড়ে খুবই কম। আর জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের দর বৃদ্ধি বা হ্রাসে সূচকে কোনো প্রভাবই পড়ে না। এ কারণে এমনটি ঘটছে।

গত বছরের জুলাই থেকে শুরু হওয়া পুঁজিবাজারের উত্থানে সূচক বেড়েছে ৮০ শতাংশের মতো। এর মধ্যে সবশেষ উত্থান পর্ব শুরু হয় গত জুলাই থেকে।

এ সময়ে এসে স্বল্প মূলধনি ও লোকসানি বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ে অস্বাভাবিক হারে। এর পেছনে কাজ করে নানা গুঞ্জন।

পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে হবে এবং সে ক্ষেত্রে শেয়ার ছাড়তে হবে, এমন খবরে কেবল শেয়ার সংখ্যা কম, এ কারণে বিনিয়োগকারীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন নানা কোম্পানিতে।

বেশ কিছু লোকসানি ও বন্ধ থাকা কোম্পানি আবার চালু করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি উদ্যোগ নেয়ার পর ঢালাওভাবে দাম বেড়েছে এমন সব কোম্পানিরও, যেগুলো আবার চালু করা নিয়েই আছে অনিশ্চয়তা।

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

বারবার সতর্কতার পরেও জুলাই ও আগস্ট মাসে এসব শেয়ারে বিনিয়োগ ক্রমেই বাড়িয়ে চলার মধ্যে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক, এমনকি বিএসইসি চেয়ারম্যানও সতর্ক করেছেন। বলেছেন মৌলভিত্তির শেয়ারে থাকতে। কিন্তু সে সময় পাত্তা দেননি ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীরা।

শেয়ার দর দ্বিগুণ, তিন গুণ হবে, এমন প্রচার চলতে থাকে পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক বিভিন্ন ফেসবুক পেজে। আর প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে এখন আটকে গেছেন তারা।

এর আগে বিমা খাতেও একই চিত্র দেখা গেছে। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এই খাতে কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ার দর চার গুণ, কোনোটির পাঁচ গুণ, কোনোটির ১০ গুণ বা তার চেয়ে বেশি হয়েছে। এর পরেও আরও বাড়বে ভেবে ক্রমাগত শেয়ার কিনে এখন হতাশা তারা।

বিমা ও স্বল্প মূলধনি বা লোকসানি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার দর ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে কোম্পানিভেদে। আর অল্প অল্প করে প্রায় প্রতিদিনই কমছে শেয়ার দর।

আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০টি কোম্পানির মধ্যে আটটিই হয় লোকসানি, নয় স্বল্প মূলধনি নয় বিমা খাতের।

আগের দিন ব্যাংক খাতের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সূচকে বড় ধরনের উত্থান হয়েছিল। তবে এই খাতটি নিয়ে বিনিয়োগকারীরা মাসের পর মাস ধরে হতাশ এ কারণে যে, কোনো এক দিন দল বেঁধে শেয়ারের দর বাড়লেও পরের দিন আবার কমে। সেই চিত্র আবার দেখা গেল।

আগের দিন এই খাতের ৩টি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে বেড়েছিল ২৪টির দর। পরের দিন চারটি কোম্পানির শেয়ার দর ১০ পয়সা আর একটির ২০ পয়সা বৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২২টি।

সিংহভাগ শেয়ারের দরপতন হয়েছে প্রকৌশল, খাদ্য, জ্বালানি, বিমা, তথ্যপ্রযুক্তি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ওষুধ ও রসায়ন খাতেও।

খাত হিসেবে কেবল স্বস্তিতে ছিল ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাত। এই খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক বৃদ্ধি ও কমার পেছনে ভূমিকা রাখা ১০টি করে কোম্পানি

সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে আইসিবি, লাফার্জ হোলসিম, পাওয়ার গ্রিড, ইউনিক হোটেল, এমকি ল্যাবরেটোরিজ, ডেল্টালাইফ, তিতাস গ্যাস , ওরিয়ন ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার ও প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের দর বৃদ্ধি।

এই ১০টি কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে সূচকে যোগ হয়েছে ১৭.৭২ পয়েন্ট।

অন্যদিকে সূচক সবচেয়ে বেশি কমেছে যে ১০টি কোম্পানির কারণে, সেগুলো হলো গ্রামীণ ফোন, ওয়ালটন, বেক্সিমকো ফার্মা, বেক্মিমকো লিমিটেড, সাবমেরিন কোম্পানি, ব্র্যাক ব্যাংক, সাউথ বাংলা ব্যাংক, রবি, ঢাকা ব্যাংক ও এনআরবিসির কারণে।

এই ১০টি কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হওয়ায় সূচক কমেছে ৭.৬৮ শতাংশ।

স্বল্প মূলধনি, লোকসানির আরও পতন

লভ্যাংশ দেয়ার ইতিহাস না থাকা, লোকসানি সাভার রিফ্রাকটরিজের দর আরও কমেছে। দুর্বল কোম্পানি হলো অভিহিত মূল্যের প্রক পর্যায়ে ৩৭ গুণ দামে বিক্রি হচ্ছিল। সেখান থেকে কমতে কমতে বুধবার দর দাঁড়িয়েছে ২৩১ টাকা। এক দিনে দাম কমেছে ১৩ টাকা ৮০ পয়সা বা ৫.৬২ শতাংশ।

সবচেয়ে বেশি দরপতনের দ্বিতীয় নম্বরে থাকা বিএনআইসিএল বিমা খাতের কোম্পানি। এর দাম কমেছে ৪.৫০ শতাংশ।

স্বল্প মূলধনি দেশ গার্মেন্টসের দর কমেছে ৪.৪৫ শতাংশ। লোকসানি ও স্বল্প মূলধনি রেনউইক যগেশ্বরের কমেছে ৪.২৫ শতাংশ। বিমা খাতের আরেক কোম্পানি ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স দর হারিয়েছে ৪ শতাংশ।

ওটিসি মার্কেট থেকে মূল বাজারে আসার পর থেকে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা মনোস্পুল পেপার দর হারিয়েছে ৩.৯৯ শতাংশ। এই কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের পকেট ফাঁকা করেছে ব্যাপকভাবে।

গত এক মাসে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর ছিল ২৪৮ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি কমে এখন হয়েছে ১৬৪ টাকা।

আরেক লোকসানি কোম্পানি ইভেন্স টেক্সটাইলের দর কমেছে ৩.৯৭ শতাংশ। ওটিসি থেকে আসা পেপার প্রসেসিং শেয়ার প্রতি ৬ টাকা ৮০ পয়সা হারিয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৬৫ টাকা ৪০ পয়সা।

গত এক মাসে এই কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর ছিল ২৪৭ টাকা। ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে আসার পর এটিরও দর বাড়ছিল অস্বাভাবিক হারে।

বিএসইসি কোম্পানি পুনর্গঠন করে দেয়ার পর উৎপাদন শুরুর চেষ্টায় থাকা এমারেল্ড অয়েল দর হারিয়েছে ৩.৭১ শতাংশ। লোকসানি, ৫ বছর ধরে লভ্যাংশ না দেয়া তাল্লু স্পিনিং দর হারিয়েছে ৩.৭০ শতাংশ। আরেক লোকসানি কোম্পানি বিচ হ্যাচারি দর হারিয়েছে ৩.৪৭ শতাংশ।

লেনদেনে সবচেয়ে এগিয়ে বস্ত্র, এরপর ওষুধ রসায়ন

বুধবার খাতওয়ারি লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল বস্ত্র খাত। টানা তিন দিন লেনদেনের দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা কোম্পানিটি ওষুধ ও রসায়ন খাতকে ঠেলে উঠে এসেছে শীর্ষে। লেনদেন হয়েছে ৩১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৯৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

এই খাতের ২৩টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ২৮টির দর। অপরিবর্তিত ছিল বাকি সাতটির।

এই খাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ড্রাগন সোয়েটারের দর। শেয়ার মূল্যে যোগ হয়েছে ৬.৩৮ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৪.৭৩ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা শাসা ডেনিমের দর বেড়েছে ৪.৩৬ শতাংশ। চতুর্থ অবস্থানে থাকা মালেক স্পিনিংয়ের দর বেড়েছে ৪.১৫ শতাংশ।

এই খাতের শেয়ারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে দেশ গার্মেন্টস, এরপরই ছিল ইটিএল, তারপর তাল্লু স্পিনিং।

গত কয়েকদিন ধরে লেনদেনে ওষুধ ও রসায়ন খাত শীর্ষে থাকলেও বস্ত্র খাত উঠে এসেছে এবার

গত কয়েকদিন টানা লেনদেনের শীর্ষে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাত নেমে গেছে দ্বিতীয় স্থানে। লেনদেন হয়েছে ৩১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৩১৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

আগের দিনের মতোই বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতন হয়েছে খাতটিতে। মোট ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ১৯টি, বেড়েছে ১১টির দর। একটির লেনদেন দীর্ঘদিন ধরেই স্থগিত।

এই খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫.৪ শতাংশ বেড়েছে একমি ল্যাবরেটরিজের দর। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এএফসি অ্যাগ্রো বায়োটেকের দর বেড়েছে ৩.৯৩ শতাংশ, তৃতীয় অবস্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মর দর আরও ৩.৫৯ শতাংশ বেড়ে ৯০ টাকা ছাড়িয়েছে। লভ্যাংশ ঘোষণার পর দর কমে যাওয়া ইবনে সিনা কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দর বেড়েছে ১.৬১ শতাংশ।

এই খাতের কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১.৯৪ শতাংশ কমেছে স্বল্প মূলধনি লিব্রা ইনফিউশন, যার দাম গত এক মাসে হঠাৎ করেই লাফ দিয়েছিল। এছাড়া অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেনের দর ১.৭১ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার দর ১.৫৭ শতাংশ, ফার্মা এইডের দর কমেছে ১.৫৫ শতাংশ।

তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাত। ২৫৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে খাতটিকে, আগের দিন যা ছিল ১৬৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

এ খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দরও ছিল উর্ধ্বমুখী। ১৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে তিনটির, পাল্টায়নি চারটির দর। একটির লেনদেন ছিল অপরিবর্তিত।

এই খাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আর সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে আইসিবির দর। ৬.৯৪ শতাংশ বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকা ৮০ পয়সা।

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জিএসপি ফাইন্যান্সের দর বেড়েছে ২.৬৪ শতাংশ, তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিআইএফসির দর বেড়েছে ২.৫৯ শতাংশ আর চতুর্থ অবস্থানে থাকা ফিনিক্স ফাইন্যান্সের ২.৪৭ শতাংশ।

ব্যাংকের হতাশা কাটেনি

টানা দরপতনের মধ্যে থাকা ব্যাংক খাত সোমবার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেও পরদিনই আবার হতাশ করেছে। দামের সঙ্গে লেনদেনও কমেছে। লেনদেন হয়েছে ১০৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১১৭ কোটি ২০ লাখ।

ব্যাংক খাতের ৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ২২টির পর, পাল্টায়নি ৫টির।

সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ইস্টার্ন ব্যাংকের ১ শতাংশ। আর সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে ঢাকা ব্যাংক ৩.৪১ শতাংশ। রেকর্ড ডেট শেষে সাউথবাংলা ব্যাংকের দর কমেছে ৩.৩২ শতাংশ।

সিমেন্ট খাতে নতুন আগ্রহ

হঠাৎ করেই এই খাতের কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের বাড়তি আগ্রহ দেখা গেছে। খাতটিতে লেনদেন হয়েছে মোট ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আগের দিন যা ছিল ১২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

এ খাতে তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানির মধ্যে দুটির দর কমেছে। বেড়েছে চারটির। আর একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।

দিনের সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া লাফার্জ হোলসিমে ২০৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা হাতবদলই এর কারণ। এছাড়া কনফিডেন্স সিমেন্টের লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ১০ লাখ টাকা।

অন্যান্য খাতের লেনদেন

প্রধান অন্যান্য খাতগুলোর মধ্যে প্রকৌশল খাতের ২৮টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। বিপরীতে বেড়েছে ১২টি কোম্পানির। আগের দিন এ খাতে মোট লেনদেন হয়েছিল ২৫৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। বুধবার লেনদেন হয়েছে ২১৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দরপতনের সঙ্গে লেনদেন ও কমেছে।

এই খাতে হাতবদল হয়েছে ১৭৭ কোট ৬৪ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ২০৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

২৩টি কোম্পানির মধ্যে ৯টির দর বেড়েছে, ১৩টির কমেছে আর একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।

বিমা খাতের ১৮টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। ৩১টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। দর পাল্টায়নি দুটির। এদিন বিমা খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১৬৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৭৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

আলোচিত খাতগুলোর মধ্যে বিমা, ব্যাংক খাত আবার হতাশ করেছে বিনিয়োগকারীদের

বিবিধ খাতের ১৪টি লেনদেন হয়েছে ১৫৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৩৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

এই খাতে ১৪টি কোম্পানির মধ্যে চারটির দর বেড়েছে, দশটির কমেছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে এক বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১০৯ কোটি ২৫ লাখ টাকার। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে দশমিক ৬৪ শতাংশ।

তথ্য প্রযুক্তি খাতের মোট তিনটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে বুধবার। দর কমেছে সাতটির। বাকি একটি কোম্পানির শেয়ার দর পাল্টায়নি।

লেনদেন হয়েছে মোট ৫৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৬ কোটি ২০ লাখ টাকা।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪টির, কমেছে ১৬টির।

লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ইউনিটগুলোর মধ্যে ২০টি ফান্ডের দর কমেছে, ২ টির দর বেড়েছে আর বাকি ১৪টির দর আগের দিনের মতোই আছে।

হাতবদল হয়েছে ১৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি ৫ লাখ টাকা।

সূচক ও লেনদেন

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩০২ পয়েন্টে।

শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১ দশমিক ৬২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৮৩ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৫ দশমিক ০৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৯৬ পয়েন্টে।

দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৩৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এক দিনে লেনদেন বেড়েছে ১৩৪ কোটি টাকা।

চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১১ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৩২৩ দশমিক ১০ পয়েন্টে।

৩১৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৮টির, কমেছে ১৬৮টির ও পাল্টায়নি ৩৭টির।

লেনদেন হয়েছে ৯১ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৭ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর