চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানোর ঘটনায় দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম আবারও ব্যাখ্যা দেবেন। এ জন্য আগামী ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের সময় দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সময় দেন।
আদালতে বিচারকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আব্দুল আলিম মিয়া জুয়েল।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন দুই বিচারক, কিন্তু ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়নি হাইকোর্ট। উল্টো ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টির ওপর আবার শুনানির জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর সময় রাখা হয়।
আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘বিচারকরা ট্রেনিংয়ে থাকার কারণে ওই দিন যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। দুজনই অল্পবয়সী অফিসার। যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাবে তারা সঠিকভাবে ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। তারা এজন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।’
এ পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘তাহলে তারা আবারও ব্যাখ্যা দিক। সেজন্য ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হলো।’
এর আগে বিচারিক আদালতের বিচারক দেবব্রত দাস ও আতিকুল ইসলামের আগের ব্যাখ্যা গ্রহণ না করে হাইকোর্ট বলে, এরা উচ্চ আদালতকে শেখাতে চায়। রিমান্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনাও মানতে চায় না।
পরীমনিকে বার বার রিমান্ডে পাঠানোর সিদ্ধান্ত ‘ভুলবশত’ হয়েছে বলে প্রথম দফার ব্যাখ্যায় জানান বিচারিক আদালতের হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম।
তাতে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম বলেন, ‘দুই বিচারক যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা সুপ্রিমকোর্টের গাইডলাইন এবং আমাদের প্রচলিত আইনের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডের বিষয়ে তারা যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই।’