বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষার্থীদের চুল কর্তন: তিন দায়িত্ব ছাড়লেন সেই শিক্ষক

  •    
  • ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১১:১৫

ফারহানা ইয়াসমিন তিনটি দায়িত্ব ছাড়লেও তাতে সন্তুষ্ট নন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণ না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় সেই শিক্ষক তার উপর অর্পিত তিনটি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে শিক্ষকতা থেকে পদত্যাগ করেননি তিনি।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন মঙ্গলবার রাতে তার বিভাগের চেয়ারম্যান পদ, সহকারী প্রক্টর পদ ও প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য পদ থেকে লিখিতভাবে পদত্যাগ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।

ফারহানা ইয়াসমিন তিনটি দায়িত্ব ছাড়লেও তাতে সন্তুষ্ট নন শিক্ষার্থীরা। তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণ না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

চার দফা থেকে সরে এসে তারা এখন ফারহানা ইয়াসমিনের স্থায়ী অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। ‘এক দফা এক দাবি’ আদায়ে বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস-১ এ আমরণ অনশনেরও ঘোষণা দিলেও পরে জানিয়েছেন, দুইদিন অপেক্ষা করবেন। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে আবার আন্দোলন শুরু করবেন।

এ বিষয়ে ওই বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফারহানা ইয়াসমিনের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

এ বিষয়ে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি ও ট্রেজারার আব্দুল লতিফ জানান, ঘটনার তদন্তে রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেলকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন দরজায় কাঁচি হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শিক্ষার্থীরা হলে ঢোকার সময় যাদের মাথার চুল হাতের মুঠোর মধ্যে ধরা যায়, তাদের সামনের অংশের বেশ খানিকটা কেটে দেন তিনি। এভাবে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন ওই শিক্ষক।

ওই ঘটনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে পোস্ট দিলে বিষয়টি ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সোমবার দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়। মীমাংসা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সোমবার দুপুরে পরীক্ষা বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ফারহানা ইয়াসমিন শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করে পরীক্ষার হলে যেতে বাধ্য করেন। এর প্রতিবাদ করলে নাজমুল হাসান তুহিন নামের ১ম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে গালিগালাজ করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের হুমকি দেন।

ওই ঘটনার পর ‘অপমান সইতে না পেরে’ তুহিন রাতে দ্বারিয়াপুরের শাহমুখদুম ছাত্রাবাসের নিজ কক্ষে দরজা আটকে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সহপাঠীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ বিভাগের আরো খবর