প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার শুরু হওয়া করোনাভাইরাসের বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি বুধবারও চলছে।
যেসব কেন্দ্রে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি, সেসব কেন্দ্রে আজও ক্যাম্পেইনের টিকা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নিউজবাংলাকে বুধবার সকালে এ তথ্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটি’র সদস্যসচিব শামসুল হক।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার ক্যাম্পেইনের ৬৭ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিনেশন করেছি। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল স্বাভাবিক টিকাদানসহ ৮০ লাখ। সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আজ সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে বিশেষ ক্যাম্পেইন।
তিনি আরও বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নারী ও বয়স্কদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়া হবে। এই দুই ঘণ্টায় তাদের টিকা নিশ্চিতকরণের পর অন্যদের টিকা দেব। তাহলে বয়স্ক নারীদের টিকাকেন্দ্রে এসে লম্বা লাইনে অপেক্ষা করতে হবে না।’
শামসুল হক জানান, দক্ষিণ সিটিতে মঙ্গলবার টার্গেটের চেয়ে বেশি ভ্যাকসিন দিয়েছে। তাই রাজধানীতে আজ শুধু উত্তর সিটিতে টিকা দেয়া হবে। উত্তরে টিকা দেয়া হবে দুপুরে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. জোবায়দুর রহমান জানান, ৫৪টি কেন্দ্রে বেলা আড়াইটা থেকে টিকা দেয়া শুরু হবে। তিনি বলেন, ডিএনসিসির লক্ষ্য বিশেষ কর্মসূচিতে পাঁচ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার।
ডা. জোবায়দুর রহমান বলেন, টিকাদান কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন সকালে ক্লাস চলছে। এ কারণে টিকার সময়সূচি পিছিয়ে আড়াইটা করা হয়েছে।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ৭৫টি কেন্দ্রে মঙ্গলবার ২৮ হাজার ৭০২ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হয়েছে।
দক্ষিণে বুধবার টিকাদান কর্মসূচি আর চলবে না বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাসের।
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে দেয়া হয়েছে সাড়ে ৬৭ লাখ টিকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনে মোট ৮০ লাখ টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এদিন দুই ডোজ মিলিয়ে দেয়া হয়েছে ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৯২ ডোজ। এর মধ্যে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ৬৬ লাখ ২৫ হাজার ১২৩ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৯ জনকে।
অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা, চীনের তৈরি সিনোফার্ম, ফাইজার এবং মডার্নার টিকা দেয়া হয় তাদের।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো টিকাদানবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
স্বাস্থ্য বিভাগের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবারের বিশেষ এ কর্মসূচিতে দেয়া হয়েছে প্রথম ডোজ টিকা। এর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে ২৮ অক্টোবর।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে করোনার টিকাদান শুরু হয়েছে। নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি এখন পর্যন্ত গণটিকাদানের দুটি বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়। মঙ্গলবারের আগে ৭ থেকে ১২ আগস্ট একটি বিশেষ সম্প্রসারিত কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়। তার প্রথম দিনেই ৩০ লাখের বেশি টিকা দেয়া হয়েছিল।
দেশে এখন পর্যন্ত টিকা এসেছে ৫ কোটি ৭০ লাখ ৮৫ হাজার ৮০ ডোজ। এই মুহূর্তে টিকা মজুত আছে ৬৪ লাখ ৪৫ হাজার ৩২৮ ডোজ। এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৬৫ হাজার ৪৯৯ জন।