ময়মনসিংহের নান্দাইলে ছয়দিন আগে ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফুলতলা গ্রাম থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে আবুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর নিহত ব্যক্তি হলেন ৭৩ বছরের ফজলুল হক। তার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আবুল হাসান।
পিবিআই ময়মনসিংহের কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্যগুলো নিশ্চিত করা হয়েছে।
নিহত ফজলুলের বাড়ি নরসিংদী জেলা সদরের খাটেহারা পূর্বপাড়া এলাকায়। ওই বাড়িতে সপরিবারে ভাড়া থাকেন আবুল হাসান। সেখানে একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করেন। তবে আবুলের নিজের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইলের কালিয়া পাড়া গ্রামে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিবিআই ময়মনসিংহের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন জানান, দেড় বছর ধরে ভাড়া থাকার সুবাদে ফজলুল হকের সঙ্গে আবুল হাসানের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একসময় সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর অস্ত্রোপচারের জন্য ফজলুল হকের কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা ধার নেন আবুল হাসান।
এরপর আবারও ধার চাইলে ফজলুল টাকা দিতে রাজি হননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ফজলুলকে হত্যা করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করতে থাকেন হাসান।
পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর ফজলুলকে নিজের বাড়িতে বেড়াতে নেয়ার কথা বলে নান্দাইল নিয়ে যান হাসান। পথে মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে দা দিয়ে কুপিয়ে ফজলুলকে হত্যা করেন তিনি। মরদেহ ধানক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যান।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘গ্রেপ্তার আবুল হাসান টাকার লোভে ফজলুল হককে হত্যা করেছেন। এ সময় ফজলুল হকের সঙ্গে থাকা ৩০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না জানতে আসামিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নান্দাইলের মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের ধানক্ষেত থেকে অজ্ঞাতপরিচয় বৃদ্ধের গলাকাটা দেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের চৌকিদার মজিবুর রহমান নান্দাইল থানায় অজ্ঞাতপরিচয়কে আসামি করে মামলা করেন। এরপর তদন্তে কাজ শুরু করে পিবিআই।