নাটোর সদর হাসপাতালের চার কোটি টাকার টেন্ডার ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাসিরুর রহমান খান চৌধুরি এহিয়ার বিরুদ্ধে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপনের অভিযোগ, এহিয়া তার কাছ থেকে শিডিউল ছিনিয়ে নিয়েছেন।
হাসপাতালের সামনে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, শফিউল ও এহিয়া টেন্ডার সিডিউলের কাগজ নিয়ে ধস্তাধস্তি করছেন। ওই সময় দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়।
২ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে আরও দেখা যায়, দুই নেতার ধস্তাধস্তিতে সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে জেলা যুবলীগ সভাপতি এহিয়া সিডিউল ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।শফিউল জানান, মঙ্গলবার ঢাকার তিন ব্যবসায়ী সদর হাসপাতালের দরপত্র কেনার জন্য তার সহযোগিতা চান। এ কারণে তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এহিয়া জোর করে তার হাত থেকে দরপত্র ছিনিয়ে নেন। ঘটনাটি তৎক্ষণিক তিনি দলের নেতাসহ প্রশাসনের লোকজনকে জানিয়েছেন।এহিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শফিউল কোনো দরপত্রই কেনেননি। তার কাছ থেকে দরপত্র ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাদাদ জানান, সদর হাসপাতালের সামনে ঝামেলা হয়েছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক পরিতোষ কুমার রায় জানান, হাসপাতালের ওষুধ, খাবার, সার্জিক্যাল সামগ্রী, আসবাবসহ ছয়টি ভাগে প্রায় চার কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। এসব সামগ্রী সরবরাহের জন্য ২৮ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। দরপত্র সংগ্রহ করা যাবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
দরপত্র ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না। আর হাসপাতালের বাইরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা দেখার দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নয় বলে জানান তিনি।