সব টাকার ওপর লেখালেখি, সিল দেয়া ও স্ট্যাপলিং বন্ধ করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দীর্ঘ সময় ধরে টাকার নোটগুলো যেন প্রচলনযোগ্য থাকে, সে জন্য ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারেন্সী ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত্র সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়।
সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, প্রচলিত ব্যাংক নোটের ওপর লেখা, সিল, স্বাক্ষর ও বারবার স্ট্যাপলিং করার কারণে অপেক্ষাকৃত কম সময়ে অপ্রচলনযোগ্য হয়ে পড়ছে। এ ছাড়া সব টাকার প্যাকেটে সিল দেয়া ব্যাংকগুলোর নিয়মিত চর্চায় পরিণত হয়েছে। এতে অল্প সময়ে নোট ময়লা ও অচল হয়ে পড়ছে। আর স্ট্যাপলিংয়ের কারণে নোটের স্থায়িত্বও কমে যাচ্ছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের নোটের ওপর লেখালেখি, স্বাক্ষর, সিল প্রদান ও স্ট্যাপলিং বন্ধ করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ‘নোট গণনাকারী কর্তৃক প্রতিটি প্যাকেটে নোটের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্যাকেট ব্যান্ডিং করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখার নাম, সিল, নোট গণনাকারীর স্বাক্ষর ও তারিখ সম্বলিত লেবেল/ফ্ল্যাইলিফ লাগানোর নিয়ম থাকলেও নির্দেশনা লংঘন করে সরাসরি টাকার উপর সংখ্যা ও তারিখ লেখা, শাখার সিল, স্বাক্ষর ও অনুস্বাক্ষর প্রদান, স্ট্যাপলিং ইত্যাদি করা হচ্ছে।
‘ফলে, নোটগুলো অপেক্ষাকৃত কম সময়ে অপ্রচলনযোগ্য হবার পাশাপাশি গ্রাহকরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এতে রাষ্ট্রীয় অর্থেরও অপচয় হচ্ছে।’
এক্ষেত্রে কিছু নিয়মের ব্যত্যয় বা অনিয়মের কথাও বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেগুলো হলো- গণনা করা প্যাকেটে সঠিক সংখ্যার চেয়ে নোট কম থাকা, উচ্চ মূল্যমান নোটের প্যাকেটে কম মূল্যমানের নোট থাকা, উচ্চমূল্যের ভিন্ন ভিন্ন সিরিয়ালের দুটি ক্লেইম নোটের অংশ নিখুঁতভাবে জোড়া দিয়ে অর্থাৎ বিল্ড আপ নোট তৈরি করে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটরে প্যাকেটে রাখা এবং পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের প্যাকেটে জাল নোট থাকা।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, গণনাকালে নোটের উপর লেখা, স্বাক্ষর, সিল এবং নোটের প্যাকেটে স্ট্যাপলিং (১০০০ টাকা মূল্যমান নোট ব্যতীত) থেকে বিরত থাকতে হবে। প্যাকেটে নোটের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্যাকেট ব্যান্ডিং করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখার নাম, সিল, নোট গণনাকারীর স্বাক্ষর ও তারিখ সম্বলিত লেবেল/ফ্ল্যাইলিফ লাগানোর বিষয়টি কঠোরভাবে পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।