করোনার প্রভাব এবং কোরবানির চামড়া সংরক্ষণের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে চামড়া শিল্পখাতের ঋণ পুনর্গঠন, পুনঃতফসিল এবং এক্সিট সুবিধা নেয়ার সময় ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ নিয়ে চার দফা সময় বাড়ানো হলো।
আগের সার্কুলারে বলা হয়েছিল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট করে এই সুবিধা নিতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়।
সার্কুলারে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাব বিদ্যমান থাকা এবং কোরবানিকৃত পশুর কাঁচা চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ কার্যক্রমে চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের বিষয় বিবেচনা করে চামড়া শিল্পখাতের ঋণ পুনর্গঠন বা পুনঃতফসিল সুবিধা গ্রহণে ইচ্ছুক গ্রাহকদের ডাউনপেমেন্টের অর্থ নগদে জমা দিয়ে আবেদনের জন্য আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হলো।’
গত ৬ জানুয়ারি দেয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ স্থিতির ন্যূনতম ২ শতাংশ অর্থ ডাউনপেমেন্ট হিসাবে নগদে আদায় সাপেক্ষে এক্সিট সুবিধা দেয়া যাবে।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব প্রতিষ্ঠানের ঋণ স্থিতি ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত, সেসব প্রতিষ্ঠানকে দায়-দেনা পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ ৩ বছর এবং যেসব প্রতিষ্ঠানের ঋণ স্থিতি ৫ কোটি টাকার বেশি, তাদের দায়-দেনা পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ ৫ বছর সময় দেয়া যাবে।
পুনর্গঠন বা পুনঃতফসিল সুবিধা গ্রহণে ইচ্ছুক গ্রাহক নগদে ডাউনপেমেন্টের অর্থ পরিশোধ করে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত আবেদন জমা দেয়ার সময় নির্ধারিত ছিল। ১২ এপ্রিল জারিকৃত সার্কুলারে এ সময় তিন মাস বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। এরপর আবার নতুন সার্কুলারে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।