দেশের শিল্প কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত ও অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই কারখানা পরিদর্শনের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে সম্মিলিত দল।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশে ৪০ হাজার কারখানাকে পরিদর্শনের তালিকা করা হয়েছে।
তবে অক্টোবরের সরকারি-বেসরকারি কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে সম্মিলিত দলের তালিকায় প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার কারখানা পরিদর্শনের আওতায় আনা হয়েছে। পরে ধাপে ধাপে অন্য কারখানাগুলোরও নিরাপদ কর্মপরিবেশ যাচাই করা হবে।
রাজধানীর চুড়িহাট্টা ও নিমতলী থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা শিল্প কারখানাগুলোতে অগ্নিকাণ্ডসহ নানা ধরনের অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অসংখ্য মানুষ মারা যাওয়াসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়।
অনেকে পঙ্গুত্ব নিয়ে এখনও জীবনযাপন করছে যার ভরণপোষণের তেমন সুব্যবস্থাও করা হয়নি।
এ ধরনের শিল্প দুর্ঘটনায় মানুষের জানমালের ক্ষতির পাশাপাশি সরকারকেও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশে কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ মাঠ পর্যায়ে যাচাইয়ের যে সিদ্ধান্ত, তা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এক সূত্র জানায়, তারা সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে এবং তারাও এতে অংশ নিতে সম্মত হয়েছে।
এফবিসিসিআই জানায়, সরকারি-বেসরকারি কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে সম্মিলিত দল শিল্প-কলকারখানা কীভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, তাদের পরিদর্শন পদ্ধতি কেমন হবে এবং পরিদর্শন তালিকায় কারখানার কোন কোন ইস্যুতে চেকলিস্ট হিসেবে রাখা হবে পরিদর্শনের আগে সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক দলকে তা নিয়ে ধারণা দেয়া হবে।
বুধবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডার) ও এফবিসিসিআই যৌথভাবে কারখানা পরিদর্শন সংক্রান্ত চেকলিস্ট আয়োজন করেছে।
সেটি ভার্চুয়ালি ব্রিফিং হবে। সংবাদকর্মী থেকে শুরু করে পরিদর্শক দল নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের অংশগ্রহণে ইচ্ছুক যারা তারা এতে অংশ নেবেন বলে জানানো হয়েছে।