বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাটি নেয়ায় বাধা দেয়ায় কৃষককে ‘পেটালেন’ চেয়ারম্যান

  •    
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:২১

এজাহারে বলা হয়, দুলালের ফসলি জমি থেকে মাটি নিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ারের কয়েকজন শ্রমিক। কিন্তু দুলাল তার জমির একটি গাছের গোড়া থেকে মাটি নেয়ার সময় তাদের বাধা দেন। শ্রমিকরা বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানায়। চেয়ারম্যান এলে দুলালের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়।

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ফসলি জমি থেকে মাটি নিতে বাধা দেয়ায় এক কৃষককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে ওই কৃষক।

সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হালুয়াঘাট থানায় মামলাটি করা হয়।

নির্যাতনের শিকার কৃষকের নাম দুলাল মিয়া। তার বাড়ি গাজির ভিটা ইউনিয়নের মুজাখালি গ্রামে। সোমবার সন্ধ্যায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্বজনরা।

মামলার বিষয়টি মঙ্গলবার বিকেলে নিশ্চিত করেন হালুয়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন। তিনি জানান, মামলার আসামি হলেন গাজির ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন।

এজাহারে বলা হয়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দুলালের ফসলি জমি থেকে মাটি নিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ারের শ্রমিকরা। দুলাল ওই সময় মাটি নিতে বাধা দিলে শ্রমিকরা বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানান। চেয়ারম্যান পরে সেখানে গেলে তার সঙ্গে দুলালের কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে চেয়ারম্যান দুলালকে নিজের গাড়িতে তুলে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। সেখানে গ্রাম পুলিশের সহায়তায় তাকে রশি দিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন চেয়ারম্যান দেলোয়ার। পরে দুলালের স্বজনরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ বিষয় ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোমবার বিকেলে মুজাখালি গ্রামের রাস্তার সংস্কারের কাজ চলছিল। কিন্তু দুলাল তখন সরকারি কাজে বাঁধা দেয়। আমি ঘটনাস্থলে গেলে মাটি উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুলালের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়।

‘আমি প্রতিবাদ করলে আমার গায়ে হাত তোলে দুলাল। তখন গ্রাম পুলিশ তাকে ধরে আমার গাড়িতে তুলে ইউনিয়ন পরিষদে আনে। তারাই দুলালকে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর লাঠি দিয়ে কয়েকটা আঘাত করে তাকে ভয় দেখানোর জন্য।’

এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ওসি শাহিনুজ্জামান খান বলেন, ‘দুলাল মিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা অবস্থায় রাতে লিখিত অভিযোগটি তার ছেলের মাধ্যমে থানায় জমা দেন। পরে অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিবদ্ধ করা হয়। আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর