চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে নালায় পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়ার প্রাণহানির ঘটনায় সড়ক অবরোধ করেছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে আগ্রাবাদের বাদামতলী মোড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সড়ক আধা ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন স্থানীয় লোকজন।
সাদিয়ার চাচাতো ভাই মঞ্জুর আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাদিয়ার মৃত্যুর প্রতিবাদে আগ্রাবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। আমরা এই মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচার চাই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে নগরে এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।’
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অবরোধের কারণে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। আমাদের একটি টিম আধা ঘণ্টার মধ্যে লোকজনকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে তুলে নিয়েছে। এরপরই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদের মাজার গেট এলাকায় সোমবার রাত ১০টার দিকে নালায় পড়ে নিখোঁজ হন শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়া।
ফায়ার সার্ভিস রাত সোয়া ১০টার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সাড়ে চার ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে রাত পৌনে ৩টার দিকে ওই নালা থেকেই মরদেহটি উদ্ধার করে।
সাদিয়া নগরীর বড়পোল এলাকার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে। তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রথম বর্ষে পড়তেন।
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক নিউটন দাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোমবার রাত পৌনে ৩টার দিকে নিখোঁজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেন আমাদের ডুবুরিরা। সন্ধ্যা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় ড্রেনে পানি জমে ছিল। তা ছাড়া ড্রেনটিতে ময়লার স্তূপ রয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সাদিয়ার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়।’
সাদিয়ার চাচাতো ভাই মো. রুবেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামা জাকির হোসেন আর নানার সঙ্গে ডাক্তার দেখাতে বের হয় সে। ফেরার সময় আগ্রাবাদ মাজার গেটের পাশে ড্রেনে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মামা জাকির এবং নানাও লাফ দেন ড্রেনে। কিন্তু তারা উদ্ধার করতে পারেননি।’
এই ঘটনার আগে ২৫ আগস্ট নগরীর মুরাদপুর এলাকায় নালায় পড়ে নিখোঁজ হন সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমেদ। এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তার সন্ধান মেলেনি।
তার আগে ৩০ জুন নগরীর ২ নম্বর গেট এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিকশা চশমা খালে পড়ে এক নারীসহ ২ জনের মৃত্যু হয়।