বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশ কনস্টেবলের নামে ধর্ষণ মামলা

  •    
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:০৯

কিশোরীর স্বজনরা প্রেস ক্লাবে গিয়ে জানান, জুয়েল রানা বাড়ি গেলে প্রায়ই মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতেন। তাকে প্রেমের ও বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। তাতে রাজি না হওয়ায় কিছুদিন আগে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে তিনি ধর্ষণ করেন।

ঠাকুরগাঁওয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের এক কনস্টেবলের নামে মামলা করেছেন ওই কিশোরীর বাবা।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ করলে বিচারকের নির্দেশে সদর থানায় গত বুধবার মামলাটি রেকর্ড হয়। তবে মঙ্গলবার সকালে বাদীর পরিবার জেলা প্রেস ক্লাবে গিয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানালে বিষয়টি জানাজানি হয়।

মামলায় জুয়েল রানা নামের ওই কনস্টেবল ছাড়াও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক ও রবিউল হাসান মিঠুন নামের আরেক যুবককে আসামি করা হয়েছে।

জুয়েল রানা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানায় কর্মরত। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদরে।

ওই কিশোরীর স্বজনরা প্রেস ক্লাবে গিয়ে জানান, জুয়েল বাড়ি গেলে প্রায়ই মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতেন। তাকে প্রেমের ও বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। তাতে রাজি না হওয়ায় কিছুদিন আগে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে তিনি ধর্ষণ করেন।

ওই কিশোরীর ভাইয়ের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সালিশ বসলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা জুয়েলের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে ঠিক করেন। তবে বিয়েতে জুয়েলের বাবা যৌতুক দাবি করেন। তা দিতে না পারায় বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর স্থানীয়দের পরামর্শে মেয়ের বাবা আদালতে লিখিত অভিযোগ করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক মামলাটি রেকর্ড করে তদন্ত করতে সদর থানাকে নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে মন্তবের জন্য জুয়েল রানার বাবা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জুয়েল কাজের সূত্রে ময়মনসিংহে আছেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না। জুয়েলের ফোন নম্বরও তিনি দিতে রাজি হননি।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভীরুল জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। শিগগিরই আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর