ফরিদপুরে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করায় এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় মঙ্গলবার দুপুরে এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জিন্দার আলী শেখ ওরফে পলাশের বাড়ি বোয়ালমারী রুপাপাত ইউনিয়নের কদমী গ্রামে। তিনি কৃষিকাজ করতেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্বপন পাল নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ২০১০ সালের ২০ মে আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রী মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার সময় পলাশ তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর তাকে কাস্তে দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
পরদিন মেয়েটির বাবা কয়েকজনের নামে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর বাদী নারাজি আবেদন দিলে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) দায়িত্ব দেয়।
উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আবু বক্কর বাদীসহ সব সাক্ষীর জবানবন্দি নিয়ে পলাশকে গ্রেপ্তার করে। পলাশ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
আইনজীবী স্বপন পাল বলেন, ‘দীর্ঘ শুনানি শেষে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী পলাশকে ফাঁসির আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।