বলা হয়ে থাকে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়নের দাবিতে এতোদিন ভোটার তালিকায় নাম লেখাননি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।
আর এই কারণে তুমুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি, হয়নি ভোটাধিকার প্রয়োগ।
করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিনের অনড় অবস্থান থেকে সড়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। ভাইরাসটির প্রতিষেধক নিতে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক হওয়ায় ৭৭ বছর বয়সে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। ইতোমধ্যে নিয়েছেন করোনার টিকাও।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘সন্তু লারমা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভোটার হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময়ে নির্বাচন থাকায় তাকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা যায়নি। পরে ২৯ আগস্ট রাঙামাটি জেলা নির্বাচন অফিসে এসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। এখনও জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পাননি। তবে ইতোমধ্যেই ভোটার হয়ে গেছেন।’
ভোটার হওয়ার পর সন্তু লারমা ইতোমধ্যে করোনা টিকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলার সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা।
এ বিষয়ে সন্তু লারমা ও তার সংগঠনের কারোর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে পার্বত্য শান্তিচুক্তি হয়। এর শর্ত অনুযায়ী ১৯৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে শান্তিবাহিনীর গেরিলা জীবনের অবসান ঘটে সন্তু লারমার।
পরবর্তীতে পার্বত্য চুক্তির শর্তে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় সন্তু লারমাকে মনোনীত করে সরকার।
১৯৪৪ সালের রাঙামাটি নানিয়ারচর উপজেলার মহাপুরম গ্রামে সন্তু লারমার জন্ম।