জাল জামিনের কাগজে আসামিকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল প্রায় ১৭ বছর আগে। সেই ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের সুপার জাকের হোসেনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত দেয়া হয়েছে।
এই অব্যাহতির সময় তিনি আর্থিক বিধিবিধান মোতাবেক শুধুমাত্র ‘খোরাকি ভাতা’ পাবেন।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার জয়নাল আবেদীন ভূঞা।
তিনি জানান, ২০০৪ সালে জাকের হোসেন যশোর কারাগারে জেলার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় মাগুরা থেকে তিন আসামির জামিনের একটি কপি ডাকযোগে যশোর কারাগারে গিয়েছিল। যে কাগজটি ভুয়া ছিল। কারাগারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জাল কাগজের বিষয়টি বুঝতে না পেরে আসামিদের মুক্তি দিয়ে দেন। এ ঘটনায় জাকের হোসেনসহ যশোর কারাগারের তিন কর্মকর্তা অভিযুক্ত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কারা-১ শাখা থেকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর জেল সুপার জাকের হোসেনকে অব্যাহতি দেয়ার একটি চিঠি আসে।
উপসচিব তাহনিয়া রহমান চৌধুরীর স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যশোর জেলা কারাগার থেকে জাল জামিন ব্যবহার করে তিনজন আসামি বের হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুসারে জাকের হোসেনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো।
গত বছরের ২৬ জুলাই হবিগঞ্জ কারাগারের জেল সুপার হিসেবে যোগদান করেন জাকের হোসেন।