বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কিশোরের নখ উপড়ে ফেলায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাদের নামে মামলা

  •    
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১০:১১

২ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে তিনজন মিলে ওই যুবককে নির্যাতন করছে। তাকে কোনো কিছু চুরির অভিযোগ স্বীকার করতে বলা হচ্ছে। এক জনকে বলতে শোনা গেছে চুরির ঘটনা স্বীকার না করলে অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হবে, তাতে তার ১০ বছরের সাজা হবে। এ সময় ওই কিশোর বারবারই বলছিল, ‘আমি কিছু জানি না ভাই’।

নাটোরে এক কিশোরকে জিম্মি করে নির্যাতনের পর হাতের আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। এ ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের নামে মামলা হলে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুইজনকে।

নির্যাতনের ঘটনাটি গত শনিবার সন্ধ্যার। সে রাতেই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ভিডিওটি ফেসবুকে সোমবার গভীর রাতে ভাইরাল হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় রোববার মামলা হয়েছে। তাতে আসামি করা হয়েছে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রনি আহমেদ, তার ভাই যুবলীগ সদস্য রবিউল আওয়াল বাপ্পি, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ হিল শুভসহ ৮ জনকে।

২ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে তিনজন মিলে ওই যুবককে নির্যাতন করছে। তাকে কোনো কিছু চুরির অভিযোগ স্বীকার করতে বলা হচ্ছে। এক জনকে বলতে শোনা গেছে চুরির ঘটনা স্বীকার না করলে অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হবে, তাতে তার ১০ বছরের সাজা হবে। এ সময় ওই কিশোর বারবারই বলছিল, ‘আমি কিছু জানি না ভাই’।

যিনি এ কথা বলছিলেন তিনি পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল শুভ বলে শনাক্ত করা হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার ওই কিশোর শহরের একটি দোকানের কর্মচারী। দোকানের মালিক আব্দুস সালাম নিউজবাংলাকে জানান, ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে একরাম হোসেন সুমন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। এর জেরে গত শনিবার সন্ধ্যায় শহরের স্টেশন বাজার এলাকায় তার দোকান থেকে তাকে ও ওই কিশোর কর্মচারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন সুমন ও তার সহযোগী রবিউল আওয়াল বাপ্পি, মো. আবির ও মোহাম্মদ মনি।

সালাম অভিযোগ করেন, তার মোটরসাইকেলের চাবিও হাতিয়ে নেন নির্যাতনকারীরা। পরে তাদের (সালাম ও তার কিশোর কর্মচারী) শহরের কানাইখালী এলাকায় যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে নিয়ে মারধর করা হয়।

সেখানে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রনি আহমেদ এবং তার ভাই যুবলীগ সদস্য রবিউল আওয়াল বাপ্পি, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শুভসহ অন্যরা তার কাছে চাঁদা দাবি করে। তার কিশোর কর্মচারীকে চোর বলতে থাকে। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় ওই কিশোরের বাম হাতের আঙ্গুলের নখ উপড়ে ফেলে।

সালাম আরও জানান, পরে টাকা আনার কথা বলে সেখান থেকে বের হয়ে যান তিনি। সদর থানায় গিয়ে ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে ওই কিশোরকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় রোববার সকালে ব্যবসায়ী একরাম হোসেন সুমন, ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রনি আহমেদ, তার ভাই যুবলীগ সদস্য রবিউল আওয়াল বাপ্পি, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি শুভসহ ৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন আব্দুস সালাম।

এসপি লিটন বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা থাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাটোর সদর উপজেলার নবীনগর গ্রামের ব্যবসায়ী একরাম হোসেন সুমন ও শহরের চকরামপুর এলাকার মো. আবিরকে। আহত কিশোরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিপ্লব জানান, রনি, বাপ্পি ও শুভর যা করেছে তা নৃশংসতা। যারাই এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর