বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

  •    
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:৪৬

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা নিউটন দাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোমবার রাত পৌনে ৩টার দিকে নিখোঁজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেন ডুবুরিরা। সন্ধ্যা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় ড্রেনে পানি জমে ছিল। তা ছাড়া ড্রেনটিতে ময়লার স্তূপ রয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সাদিয়ার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। মরদেহ হালিশহরের বড়পোল এলাকায় নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী শেহেরিন মাহমুদ সাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

সোমবার রাত পৌনে ৩টার দিকে আগ্রাবাদের মাজার গেট এলাকায় সাড়ে চার ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এ তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক নিউটন দাশ।

এর আগে রাত ১০টার দিকে আগ্রাবাদের মাজার গেট এলাকায় অসাবধানতাবশত ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হন সাদিয়া।

সাদিয়া নগরীর বড়পোল এলাকার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে। তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা নিউটন দাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোমবার রাত পৌনে ৩টার দিকে নিখোঁজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেন আমাদের ডুবুরিরা। সন্ধ্যা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় ড্রেনে পানি জমে ছিল। তা ছাড়া ড্রেনটিতে ময়লার স্তূপ রয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সাদিয়ার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। মরদেহ হালিশহরের বড়পোল এলাকায় নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

মরদেহ উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যরা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের মারধর করে মরদেহ ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন নিউটন দাশ।

তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের সদস্যদের মারধর করে মরদেহটি ছিনিয়ে নিয়ে চলে গেছেন। এ সময় আমাদের এক কর্মীর মোবাইল ফোনও হারিয়ে গেছে।’

সাদিয়ার চাচাতো ভাই মো. রুবেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামা জাকির হোসেন আর নানার সঙ্গে ডাক্তার দেখাতে বের হয় সে। ফেরার সময় আগ্রাবাদ মাজার গেটের পাশে ড্রেনে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মামা জাকির এবং নানাও লাফ দেন ড্রেনে। কিন্তু তারা উদ্ধার করতে পারেননি।’

ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান শুরু করতে দেরি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন সাদিয়ার চাচা বেলাল হোসেন।

তিনি বলেন, ‘সাদিয়া পড়ে গেছে ১০টায়, আমি খবর পেয়েছি সাড়ে ১০টায়। আমরা আসার পরও দেখি ফায়ার সার্ভিস আসেনি। খোঁজাখুঁজি করছি নিজেরা, অনেকক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিস আসে। এখানকার কাউন্সিলরের অফিস খুব একটা দূরে না, তিনি পর্যন্ত একটু খবর নেননি।’

অভিযোগ নাকচ করে নিউটন দাশ বলেন, ‘আমরা সোয়া ১০টায় খবর পেয়ে দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। গণমাধ্যম কর্মীরা দেখেছেন, অনেকে লাইভেও ছিল। এখন বলেন, তারপরও কেউ যদি এভাবে বলে, আমাদের তো কিছুই করার নেই।’

এ ঘটনার আগে ২৫ আগস্ট নগরীর মুরাদপুর এলাকায় নালায় পড়ে নিখোঁজ হন সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমেদ। এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তার সন্ধান মেলেনি।

তার আগে ৩০ জুন নগরীর ২ নম্বর গেইট এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিকশা চশমা খালে পড়ে এক নারীসহ ২ জনের মৃত্যু হয়।

এ বিভাগের আরো খবর