উচ্চ আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হাজার কোটি টাকার বেশি সংগ্রহ করা রিং আইডির ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
একই সঙ্গে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক, ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্ট্রিমকারসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট থাকলে, তাও জানাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে সম্প্রতি ব্যাংকগুলোতে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়। বিভিন্ন ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে রিং আইডি ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড এবং রিং আইডি বিডি লিমিটেডের নামে ব্যাংক হিসাব থাকলে, তা জানাতে বলা হয়েছে। রিং আইডি ডিস্ট্রিবিউশনের ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে গুলশানে নিকেতনের ৫৭ নম্বর বাড়ি। আর রিং আইডি বিডির ঠিকানা দেয়া হয়েছে রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ার।
বিএফআইইউর চিঠিতে টিকটক, স্ট্রিমকার ছাড়াও আরও চারটি অ্যাপভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এসব অ্যাপ হলো তিনপাত্তি, ট্রেজার হান্ট, লাকি পয়সা ও ক্রিকেট স্টারস।
অ্যাপভিত্তিক এসব প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ধরনের ব্যাংক হিসাব থাকলে সেসব খোলার ফরম, কেওয়াইসি প্রোফাইল ফরম ও শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী পাঠাতে বলা হয়েছে।
অ্যাপভিত্তিক এসব প্রতিষ্ঠানের একটিরও অফিসের ঠিকানা পায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ ছাড়া সংকল্প ট্রাস্টসহ আট প্রতিষ্ঠান এবং এসব প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট সাত ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবও তলব করেছে বিএফআইইউ।
প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে বেসরকারি সংস্থা সংকল্প ট্রাস্ট, সংকল্প ট্রাস্ট স্টাফ সিকিউরিটি ফান্ড, সংকল্প ট্রাস্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার ফান্ড, সংকল্প ট্রাস্ট স্টাফ প্রভিডেন্ট ফান্ড, সংকল্প ট্রাস্ট স্টাফ জেনারেল ফান্ড, সংকল্প ট্রাস্ট এলনাহ প্রজেক্ট, টাফুন ট্রাস্ট এবং আমিরাবাদ হাফিজিয়া মাদ্রাসা এতিম খানা।
এসব প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা হলেন মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ, মনিরুজ্জামান হিরু, আব্দুর রহিম, মিসেস তাছলিমা ও সাইফুল ইসলাম।