বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোগান্তি কমাতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে দ্বিগুণ টিকা

  •    
  • ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২২:৪৩

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনে সারা দেশে ৮০ লাখ টিকা দেয়ার কার্যক্রম নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী গণটিকায় মানুষের ভোগান্তি কমাতে কেন্দ্রে টিকার বরাদ্দ দ্বিগুণ করার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সঙ্গে এসএমএস ছাড়া কেন্দ্রে আসতে বারণ করা হয়েছে।

গত ৭ থেকে ১৪ আগস্ট গণটিকা কর্মসূচির অভিজ্ঞতা বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধিদপ্তর।

সে সময় কেন্দ্রগুলোতে পর্যান্ত টিকার বরাদ্দ না থাকায় টিকাপ্রতাশীদের ভিড় ও ভোগান্তি ছিল চরমে। অনেকেই রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা যায়। এমনকি এসএমএস ছাড়াও বিপুল সংখ্যক মানুষ টিকাকেন্দ্রে ভিড় করে।

তেমন পরিস্থিতি আর দেখতে চায় না জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এমন ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনে সারা দেশে ৮০ লাখ টিকা দেয়ার কার্যক্রম নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

প্রায় ৪ হাজার ৬০০ ইউনিয়নে এবং ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভার ৪৪৩টি ওয়ার্ডে এ টিকা দেয়া হবে। প্রতি ইউনিয়ন ও সিটি করপোরেশনে তিনটি করে বুথ এবং পৌরসভায় একটি বুথ রাখা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে টিকা। ছবি: সাইফুল ইসলাম

প্রতিটি কেন্দ্র গত ক্যাম্পেইনে প্রতি কেন্দ্র ৩০০ ডোজ টিকার দেয়া হলেও এবারের ক্যাম্পেইনে ৫০০ অধিক টিকা দেয়া হবে।

এ বিষয়ে ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্যসচিব শামসুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার ক্যাম্পেইনে নিবন্ধনকারী ছাড়া কেউ আসবে না।’

টিকাকেন্দ্রও নিবন্ধনের সুযোগ থাকছে না। শুধু নিবন্ধন কার্ড নিয়ে গেলেই টিকা দেয়া হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেলেও টিকা দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া টিকা নেয়া যাবে বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটিও স্পষ্ট করেন তিনি। বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর কথা, যাদের বয়স ৬০ বছরের ওপরে। এটা সবার জন্য নয়।’

ক্যাম্পেইনে টিকাপ্রতাশীদের ভোগান্তি এড়াতে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত ক্যাম্পেইনে কোনো জায়গায় দীর্ঘ লাইন হয়েছে। যারা নিবন্ধিত ছিল না তারও চলে আসায় এমনটা হয়েছে। যাদের ডাকা হয়নি তারও ক্যাম্পেইনে চলে আসছে।

‘এ ছাড়া মডার্না ও ফাইজারের টিকা পেতেও কেন্দ্রে ভিড় করেছেন অনেকেই। এবার যদি সবাই সহযোগিতা করে তাহলে আগের মতো সমস্যা থাকবে না।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ‘যখন কোনো ক্যাম্পেইন হয়, তখন অতি উৎসাহী জনগণ দেখতে ভিড় করেন। অনেকে আগে টিকা নেয়ার চেষ্টা করেন। এসব আপনারা দয়া করে করবেন না। এসব করতে গেলে আমরা আমাদের ক্যাম্পেইনটা ঠিক মতো করতে পারব না।’

তিনি বলেন, ‘এটি আসলে গণটিকা নয়। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন।

‘যে ম্যাস ভ্যাকসিনেশন হবে, সারা দেশে কোভিড-১৯ এই ক্যাম্পেইনে আমরা শুধু প্রথম ডোজের টিকা দেব এবং একইভাবে আগামী মাসের একই তারিখে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেব।’

তিনি জানান, ক্যাম্পেইন শুরু হবে সকাল ৯টায়। আর লক্ষ্যমাত্রায় না পৌঁছানো পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে টিকা চলমান থাকবে। শেষ টিকা দেয়ার পরও টিকা দল এক ঘণ্টা অবস্থান করবে।

ক্যাম্পেইনে আগে থেকে নির্ধারিত জনগোষ্ঠী ২৫ বছর বয়সী বা তদুর্ধ্ব তাদের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে টিকা দেয়া হবে।

‘আমরা চল্লিশোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেব। বয়স্ক, নারী ও প্রতিবন্ধীদের আমরা বিবেচনায় রাখব। স্তন্যদানকারী মা ও অন্তঃসত্ত্বাদের ক্যাম্পেইনের আওতায় আনব না।’

তিনি জানান, টিকা নেয়ার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিকাকার্ড সঙ্গে আনতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়নে কোনো একটি ওয়ার্ডে একটি কেন্দ্রে একটি বুথ, পৌরসভার প্রতিটি কেন্দ্রে একটি কেন্দ্রে একটি বুথ, সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের ৩টি বুথের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। সারা দেশে আগে থেকে যেসব কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি চলছিল সেগুলো অব্যাহত থাকবে।

টিকাগ্রহীতাদের বসার ব্যবস্থা করতে হবে। টিকা নেয়ার পরে প্রত্যেকে অবশ্যই আধাঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। নারীদের জন্য পর্দা ঘেরা জায়গায় টিকা গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ইউনিয়নে ৩টি বুথে ৩টি টিম থাকবে। প্রতিটি টিমে ২ জন ভ্যাকসিনেটর ও ৩ জন স্বেচ্ছাসেবী থাকবেন। পৌরসভা পর্যায়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ও সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ১ হাজার বা তদুর্ধ্ব মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য স্থির করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমরা ৭৫ লাখ টিকা দেব বলে ঠিক করেছি এবং নিয়মিত আরও ৫ লাখ এই ৮০ লাখ টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে। প্রতিটি ইপিআই সেন্টার থেকে যা মালামাল দরকার তা আমরা সরবরাহ করেছি। এটা চলছে, আজ রাত এবং কাল সকাল পর্যন্ত চলবে।’

এ বিভাগের আরো খবর