ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে রিমু আক্তার নামের এক গৃহবধূর মরদেহ রেখে পালিয়ে গেছেন স্বামী তামিম হোসেনসহ পরিবারের সদস্যরা।
হাসপাতালের চিকিৎসক রাকিবুল ইসলাম চয়ন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ‘রোববার সন্ধ্যায় মৃত এক মেয়েকে নিয়ে কয়েকজন হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে লাশটি রেখে কিছু সময় পর তারা পালিয়ে যান। ঘটনা বুঝতে পেরে আমরা পুলিশে খবর দিই।’
সোমবার এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও সদর থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছে পুলিশ। তবে রিমুর বাবা আলম হোসেন হত্যা মামলা করতে থানায় গেলে অভিযোগ গ্রহণ করেনি পুলিশ।
রিমু আক্তার ঠাকুরগাঁও শহরের দক্ষিণ সালন্দর শান্তিনগরে তার স্বামী তামিম হোসেনের পরিবারে বসবাস করতেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি (অপারেশন) জিয়ারুল জিয়া জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জেনে মহদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, ‘মরদেহটি থানায় আনার পর আমরা তার স্বামীর পরিবারের সন্ধান করতে থাকি। তাদের না পেয়ে মেয়েটির বাবা আলম হোসেনের খোঁজ পেয়ে তাকে অবগত করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে।
তবে থানা পুলিশ আলম হোসেনের অভিযোগ কেন নেয়নি, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি ওসি।
রিমুর বাবা আলম হোসেন বলেন, ‘১০ মাস আগে তামিম হোসেন নামের এক ছেলের সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। জামাই নেশা করে মাঝে মাঝেই তাকে নির্যাতন করত। বেশ কয়েকবার জামাইকে বুঝিয়েছি। কোনো লাভ হয়নি। এবার তারা মেয়েটাকে মেরেই ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই। জানি না কার কাছে যাব। পুলিশও আমার অভিযোগ গ্রহণ করেনি।’
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার রাকিবুল ইসলাম চয়ন আরও জানান, মেয়েটির মৃত্যু গলায় ফাঁস লেগেই হয়েছে। তার শরীরের বেশ কিছু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম জানান, তামিমের বাসায় গিয়ে পরিবারের কোনো সদস্যকে পাওয়া যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।