আট বছর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার আদেশের পর চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পুলিশ সদস্যকে হত্যার মামলায় বিচার শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হকের আদালতে সোমবার দুপুর ২টার দিকে এ মামলার অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ বিচার কাজ শুরু হয়।
মামলার আসামি ৯৫ জন। এরা সবাই জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী। আসামিদের মধ্যে অভিযোগ গঠনের সময় ৬৫ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদের মধ্যে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াতের নেতা শাহাজান চৌধুরী, জামায়াত নেতা জাফের সাদেক।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আইয়ুব খান বলেন, লোহাগাড়া থানার পুলিশ সদস্য তারেক হত্যা মামলায় সোমবার বিচার শুরু হয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সেদিন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা দেশের নানা প্রান্তে তাণ্ডব চালায়।
সেদিন চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার কমিউনিটি সেন্টার জমির কমপ্লেক্স থেকে কনস্টেবল তারেকুল ইসলামকে ধরে নিয়ে কোপানো হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার মাথায় লোহার খন্তা ঢুকিয়ে দেয়া হয়।
ওই দিন আমিরাবাদ এলাকায় ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরসহ তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা।
সাঈদীকে অবশ্য পরে ফাঁসিতে ঝুলতে হয়নি। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ সাজা পাল্টে আমৃত্যু কারাদণ্ড করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ আবেদন করলে ২০১৭ সালের ১৫ মে আপিল বিভাগ সে আবেদন নাকচ করে।
সাঈদী বর্তমানে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি।