খুলনা জেনারেল হাসপাতালে করোনা টেস্টের ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসের বিরুদ্ধে।
তদন্ত কমিটি তাকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার পরপরই তিনি আত্মগোপনে চলে গেছেন।
খুলনার সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তিনি জানান, ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে বিদেশগামীদের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষার ফি গ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাস। যত রোগী নমুনা পরীক্ষা করাতেন তার থেকে কম রোগী খাতায় এন্ট্রি করতেন তিনি। খাতায় এন্ট্রি অনুযায়ী দিন শেষে কোষাধ্যক্ষকে টাকা বুঝিয়ে দিয়ে বাকি টাকা নিজে আত্মসাৎ করতেন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, এ বিষয়ে সন্দেহ হওয়ায় গত বুধবার তার কাছে হিসাব চাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তার হিসাব দেয়ার কথা থাকলেও তিনি তা দেননি। দুপুরে কাউকে কিছু না জানিয়ে তিনি অফিস থেকে চলে যান। এরপর থেকে তিনি আর অফিসে আসেন না, বাসায় লোক পাঠিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, চলতি বছরের এপ্রিলে হিসাবে গড়মিল দেখা দিলে প্রকাশ কুমার দাসকে শোকজ করা হয়। সে সময় থেকে তিনি বারবার সময় নেন। ২২ আগস্ট ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটি ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশ কুমারকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রতিবেদন দেয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনি আত্মগোপনে চলে গেছেন।
সোমবার বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।