আগামী নির্বাচন কমিশনও সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. কামরুজ্জামানের মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রাজ্জাক বলেন, ‘সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। রাষ্ট্রপতি তাদেরকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। কমিশন তাদের শপথ অনুযায়ী স্বাধীনভাবে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা করবেন। এক্ষেত্রে সরকারের কোনো ভূমিকা বা হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই, থাকবেও না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এদেশের মানুষকে দিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। অন্য দেশ বা ভিন্ন গ্রহ থেকে মানুষকে ধরে আনা যাবে না। সার্চ কমিটির মাধ্যমে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে, আইনগতভাবে তারাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি যেসব শর্ত দিয়েছে, তার মধ্যে আছে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন। তবে বিএনপির এই দাবি সুনির্দিষ্ট নয় বলে মনে করেন আবদুর রাজ্জাক।
ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ‘যেভাবেই নির্বাচন কমিশন গঠন হোক, বিএনপি নির্বাচনে হারলে বলবে কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেনি। তারা ১৯৯১ সালে ও ২০০১ সালে নির্বাচনে জিতেছিল, সেজন্য নির্বাচন দুটি তাদের কাছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।’
স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ধর্মান্ধ জামায়াত, হেফাজতসহ সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং তার ভাষায় তাদের মদতদাতা বিএনপি হুমকিস্বরূপ বলে মন্তব্য করেন রাজ্জাক। বলেন, ‘এদের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি পারভীন জামান ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুলতানও এতে বক্তব্য রাখেন।