বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই শিক্ষিকার ‘ব্ল্যাকমেলিং কারবার’

  •    
  • ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:৫৫

পুলিশ জানায়, মজিবুর রহমান রাজশাহীতে প্লট কেনাবেচা এবং প্রাইভেট কার ভাড়া দেয়ার ব্যবসা করতেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি নগরীর উপশহরের দুই নম্বর সেক্টরের একটি ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার ছেলে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে দুই নারী শিক্ষকের সম্পৃক্ততার বিষয়টি বেরিয়ে আসে।

পেশা স্কুলের শিক্ষকতা। কিন্তু এই পরিচয়ের আড়ালে দুই নারী মানুষকে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেল করতেন।

মজিবুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীর আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তে নেমে পুলিশ সন্ধান পান এই দুই নারীর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ।

তারা হলেন আইরিন ইয়াসমিন লিজা ও শামীমা আক্তার। আইরিনের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার বালিচ গ্রামে। আর শামীমা ঢাকার সাভারের ডেন্ডাবর নতুনপাড়ার বাসিন্দা। দুজনেই সাভারের একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক।

রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ রোববার রাতে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানায়, মজিবুর রহমান রাজশাহীতে প্লট কেনাবেচা এবং প্রাইভেট কার ভাড়া দেয়ার ব্যবসা করতেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি নগরীর উপশহরের দুই নম্বর সেক্টরের একটি ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার ছেলে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছিলেন। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে দুই নারী শিক্ষকের সম্পৃক্ততার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এরপরই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে মৃত মজিবুর রহমানের মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক তার কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, শিক্ষকতা পেশার আড়ালে এ দুই নারী মানুষকে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেল করতেন।

জিজ্ঞাসাবাদে আইরিন জানিয়েছেন, মজিবুর রহমানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ৬ ফেব্রুয়ারি তারা দুজন স্বেচ্ছায় মজিবুরের বাড়ি গিয়েছিলেন। রাতে তারা মজিবুরের পাশের ঘরে শুয়েছিলেন। তখন মজিবুর রহমান মেসেঞ্জারের মাধ্যমে আইরিনকে তার ঘরে ডাকেন।

আইরিন না গেলে মেসেঞ্জারেই তাদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এরপর মজিবুর জানান, রাত ৩টার মধ্যে আইরিন না গেলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। তখন আইরিন মেসেঞ্জার এবং এসএমএসের মাধ্যমে মজিবুর রহমানকে মরতেই বলেন। অভিমানে মজিবুর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

সকালে আইরিন ও শামীমা তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে বাড়ি থেকে মজিবুরের মোবাইল ফোন, বাড়ির চাবি এবং নগদ চার লাখ টাকা ও কিছু কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে যান।

সংবাদ সম্মেলনে আরএমপি কমিশনার বলেছেন, এ দুই নারী ব্ল্যাকমেল চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। দুজনকে মজিবুরের আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর