ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে রুনা নামে এক নারী নিহতের মামলায় জহুরা বেগম নামে আরেক নারীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
সোমবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মনিরুজ্জামান শিকদারের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেয়।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মৃত্যুঞ্জয় কুমার কীর্তনিয়া জহুরাকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামির পক্ষে আইনজীবী শাহ আলম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জহুরা বেগমের দুই দিনের রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল করিম।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, রোববার দুপুরে বড় বলমন্তচর গ্রামের বাসিন্দা হযরত আলী ও তার স্ত্রী জহুরা বেগম করোনাভাইরাসের টিকা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে পৃথক দুই লাইনে দাঁড়ান। এ সময় প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে মহিলাদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা জহুরার ওপরে এসে পড়েন পেছনে থাকা দুই বোন রুনা ও পপি। এর কিছুক্ষণ পর জহুরা বুঝতে পারেন তার গলার ৯০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন নেই।
সঙ্গে সঙ্গে জহুরা বিষয়টি তার স্বামীকে জানিয়ে ওই দুই বোনের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেন। পরে তার স্বামী রুনা ও পপিকে আটক করে গাড়িতে করে বাড়ি নিয়ে যান এবং স্বর্ণের চেইন ফেরত চেয়ে তাদেরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারপিট করেন।
পরে স্থানীয়রাও দুই বোনকে পর্যায়ক্রমে মারপিট করেন। এতে দুজনই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক রুনাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত পপি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় রুনার ভাই জহুর আলী স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর জহুরা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।