বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গ্রাহকের মৃত্যুর সুযোগে ব্যাংকে ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ 

  •    
  • ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:৫৩

মামলার আবেদনে আরও বলা হয়, মামলার সাক্ষী বিল্লাল হোসেনের কাছে ৩৭ লাখ টাকা পেতেন মোস্তাফিজুর। বিল্লাল ৩৭ লাখ টাকার চেক মোস্তাফিজুরকে দেন। পূবালী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় চেক নিয়ে যান তিনি। ২১ মার্চ ব্যাংকে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন মোস্তাফিজুর। চেকটি শরীফ প্রধানের কাছে রেখে চলে আসেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় পূবালী ব্যাংকের গ্রাহক মোস্তাফিজুর রহমান আলমগীরের। পরে তার স্বাক্ষর জাল করে ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ব্যাংকটির দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

সে অভিযোগে সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালতে মোস্তাফিজুর রহমানের শ্যালক সালেহ আহমেদ টাকা আত্মসাতের মামলা করেছেন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড চকবাজার শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার শরীফ প্রধান এবং একই শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম।

বাদীর আইনজীবী সাইফুল ইসলাম রিপন মামলা করার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আসামি শরীফ প্রধানের স্ত্রীর বড় বোন নাজমা আক্তারের সঙ্গে হয়েছিল মোস্তাফিজুরের প্রথম বিয়ে হয়। ২০১৮ সালে নাজমা মারা যান। চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি বাদী সালেহ আহমেদের বোন রাবেয়ার সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমানের বিয়ে হয়।

মোস্তাফিজুর রহমান নাজিরাবাজারে পপুলার সাইকেল মার্ট নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী ছিলেন।

মামলার আবেদনে আরও বলা হয়, মামলার সাক্ষী বিল্লাল হোসেনের কাছে ৩৭ লাখ টাকা পেতেন মোস্তাফিজুর। বিল্লাল ৩৭ লাখ টাকার চেক মোস্তাফিজুরকে দেন। পূবালী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় চেক নিয়ে যান তিনি। ২১ মার্চ ব্যাংকে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন মোস্তাফিজুর। চেকটি শরীফ প্রধানের কাছে রেখে চলে আসেন।

পরে মোস্তাফিজুরের করোনা ধরা পড়ে। চেকের বিষয়টি স্ত্রী রাবেয়াকে জানান মোস্তাফিজুর। ২৫ মার্চ মোস্তাফিজুরের মৃত্যু হয়।

কিন্তু এর মধ্যেই মোস্তাফিজুরের সই জাল করে রফিকুল ইসলামের সহযোগিতায় শরীফ প্রধান ৩৭ লাখ টাকা তুলে নেন। টাকার বিষয়ে রাবেয়া আক্তার জানতে চাইলে শরীফ প্রধান তাকে ভয়ভীতি দেখান।

তার আগে মামলার বাদী মোস্তাফিজুরের শ্যালক বংশাল থানায় আসামি শরীফ প্রধানের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন।

এ বিভাগের আরো খবর