দেশে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের পথে। টানা এক সপ্তাহ ধরে করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে পাঁচ শতাংশের নিচে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৮২১ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৭৮৭টি। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২১২ জনের দেহে।
এ সময় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ২৫ জনের। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৪৩৯ জনে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহ শনাক্ত ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে বিবেচনা করা হয়। সে হিসেবে করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশকে আরও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।
গত মঙ্গলবার শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ, পরের দিন বুধবার ছিল ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। বৃহস্পতিবার ৪ দশমিক ৬১ এবং শক্রবার ছিল ৪ দশমিক ৫৬। শনিবার শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৫৯ এবং গতকাল সেই হার কমে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৪১ শতাংশে।
করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। সেই বছরের ডিসেম্বরে প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর মার্চে দেখা দেয় দ্বিতীয় ঢেউ। পরে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করে। মাস পাঁচেক পর পরিস্থিতি আবার নিয়ন্ত্রণের পথে। গত কয়েক দিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা।
চলতি বছরের এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে তা ৩০ শতাংশও হয়ে যায়। এ অবস্থায় এপ্রিলে লকডাউন ও পরে জুলাইয়ে দেয়া হয় শাটডাউন নামে বিধিনিষেধ। ১১ আগস্ট বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর থেকে করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু ধীরে ধীরে কমে আসছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ১৩ জন, নারী ১২ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ১, ত্রিশোর্ধ্ব ১, চল্লিশোর্ধ্ব ৩, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৬, ষাটোর্ধ্ব ৬ ও সত্তরোর্ধ্ব ৮ জন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এছাড়া চট্টগ্রামে ৮, খুলনায় ৩, সিলেটে ৩ ও রংপুরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ২০২ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৫ লাখ ১২ হাজার ৬৮১ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৩।