দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়ার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে টিকাদান ক্যাম্পেইন।
এ কর্মসূচির মাধ্যমে টিকাগ্রহীতাদের আগে থেকে এসএমএস পাঠানো হবে। সে এসএমএস না পেলে মিলবে না টিকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সোমবারের এক ভিডিওবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে এসএমএসের মাধ্যমে টিকা দেয়া হবে।
সোমবার বিকেলে ভিডিওবার্তায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ‘এই ক্যাম্পেইনে আগে থেকে নির্ধারিত জনগোষ্ঠীকে এসএমএসের মাধ্যমে টিকা দেয়া হবে। ২৫ বছর ও তার বেশি বয়সের জনগোষ্ঠীকে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়ে টিকা দেয়া হবে। ৪০ বছরের ওপরে জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
‘বয়স্ক, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও নারী, তাদেরকে আমরা বিবেচনায় আনব। এবারের ক্যাম্পেইনে গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের টিকা দেয়া হবে না। ক্যাম্পেইনে শুধু প্রথম ডোজ দেয়া হবে।’
স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, ‘এটি আসলে গণটিকা নয়। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন।’
এ বিষয়ে ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার ক্যাম্পেইনে নিবন্ধনকারী ছাড়া কেউ আসবে না। টিকাকেন্দ্র কোনো নিবন্ধনের সুযোগ থাকছে না। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসলেও আমরা টিকা দিতে পারব না। নিবন্ধন কার্ড সাথে থাকতে হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া টিকা নেয়া যাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শামসুল হক বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর কথা, যাদের বয়স ৬০ বছরের ওপরে। এটা সবার জন্য নয়।’
যেসব কেন্দ্রে ক্যাম্পেইনের টিকা
সারা দেশে প্রায় ৪ হাজার ৬০০ ইউনিয়নে এবং ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভার ৪৪৩টি ওয়ার্ডে এ টিকা দেয়া হবে। ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকর্মী এ ক্যাম্পেইনে কাজ করবেন। এর মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন। তারা সবাই মিলে এই বিরাট কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন।
সব মিলিয়ে প্রায় ৮০ হাজার লোক এ কাজ করবেন। প্রতিটি ইউনিয়ন ও সিটি করপোরেশনে তিনটি করে বুথ এবং পৌরসভায় একটি বুথ রাখা হবে।