দেশের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক শৃঙ্খলার অভাব রয়েছে। তাই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক শৃঙ্খলা আনতে একটি অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন হয়েছে সোমবার।
ইউজিসিতে আয়োজিত এ কর্মশালায় ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘দেশের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক শৃঙ্খলা যথাযথভাবে অনুসরণ করছে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক শৃঙ্খলা আনতে একটি অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে।’
কিছু অনিয়মের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অননুমোদিত জনবল নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। অস্থায়ী, মাস্টার রোল, এডহক, চুক্তি ও দৈনিক মজুরিভিত্তিক চাকরি বন্ধ করতে হবে। নিয়ম বহির্ভূত সিটিং অ্যালাউন্সও দেয়া যাবে না। এসব নিয়ম বহির্ভূত পদে কেউ বেতন ভাতা দিয়ে থাকলে তাদেরকে (বিশ্ববদ্যিালয়কে) এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট প্রণয়নে উচ্চশিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করা, গবেষণা ও উদ্ভাবনে মনোযোগ দেয়া, আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
কর্মশালার আলোচকরা এক খাতের টাকা অন্য খাতে ব্যয় না করা, অপ্রয়োজনীয় খাতে বরাদ্দ না দেয়া, সঠিক সময়ে ব্যয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বাড়ানো, উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে সিন্ডিকেট গঠনসহ বেশ কিছু পরামর্শ দেন।
আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা এবং ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোর আহ্বান জানান আলোচকরা।
কর্মশালায় কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান বিশেষ অতিথি ছিলেন। এছাড়া ২৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের প্রধান ও বাজেট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।