চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলায় কারাগারে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রাজা’ খ্যাত আখতারুল করিম রুবেল এবার ছাত্রত্ব হারাচ্ছেন। তাকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের সভায় সোমবার এ সুপারিশ করা হয়। বিষয়টি আগামী সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হবে। সেই সঙ্গে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে রুবেলকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক ছিলেন। গত ২৬ জুলাই শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের এক কর্মচারীর কাছে চাঁদা দাবি এবং তাকে মারধরের ঘটনায় এ পদ হারান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক ব্যবসায়ীদের চারটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি উদ্যানে ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবেও এই শিক্ষার্থী পরিচিত।
গত ২৬ জুলাই শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট থেকে রুবেলকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরের দিন চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। আদালত একদিনের রিমান্ডে পাঠায়। রিমান্ডের পর থেকেই কারাগারে রুবেল।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, শেখ হাসিনা বার্ন ইনিস্টিটিউটের ওয়ার্ড বয় মনির হোসেন এবং তার কয়েকজন সহকর্মী সকালের নাশতা করার উদ্দেশ্যে বাইরে যাচ্ছিলেন। ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের সামনে পৌঁছালে তাদের গতিরোধ করে রুবেল ও তার সহযোগীরা পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রুবেল এবং তার সহযোগীরা হাতে থাকা কাঠ ও রড নিয়ে মনির হোসেন ও তার সহকর্মীদের মারতে থাকেন। কিল, ঘুষি ও লাথিতে মারাত্মক জখম করেন। পরে ভুক্তভোগীদের চিৎকারে হাসপাতাল থেকে অন্য কর্মচারীরা বের হয়ে রুবেলকে ধরতে পারলেও তার সঙ্গে থাকা বাকিরা পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে রুবেলকে আটক করে।
এ ছাড়া, রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর চানখাঁরপুলে পায়ে বাইক তুলে দেয়ার প্রতিবাদ করায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক যুবককে কোমরের বেল্ট খুলে বেদম পেটানোরও অভিযোগ রয়েছে।