বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভর্তি জালিয়াতি: ছাত্রত্ব হারাচ্ছেন ঢাবির আরও দুজন

  •    
  • ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:০৮

এ ছাড়া, অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত সাত কলেজের ৭২জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে।

ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তি হওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের এক সভায় এ সুপারিশ করা হয়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ‘উদ্যানের রাজা’ ঢাবি শিক্ষার্থী আখতারুল করীম রুবেলকে সাময়িক বহিষ্কারেরও সুপারিশ করা হয়েছে।

এ ছাড়া, অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত সাত কলেজের ৭২জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে।

অবৈধ পন্থায় ভর্তি হওয়ার দায়ে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশপ্রাপ্তরা হলেন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. রাকিব হাসান ও ভূতত্ত্ব বিভাগ শিক্ষার্থী ইশরাক হোসেন রাফি। তারা দুইজনই ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হয়েছিলেন।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের সভা থেকে এই দুই শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল।

জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এর আগে দুই দফায় ৮৫ জন শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তারা সবাই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) করা মামলার আসামি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ৮৭ জন শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

‘উদ্যানের রাজা’ আখতারুল করীম রুবেল নামে ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আকতারুল করিম রুবেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের উপ দফতর সম্পাদক ও বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক ব্যবসায়ীদের চারটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি উদ্যানে ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবেও এই শিক্ষার্থী পরিচিত।

শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের এক কর্মচারীর কাছে চাঁদা দাবি করে তাকে মারধরের ঘটনায় রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখনও তিনি জেলে। এ ঘটনায় ২৮ জুলাই তাকে ছাত্রলীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর