কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদে পানি বেড়ে বন্যার দেখা দিয়েছে। হঠাৎ বেড়ে যাওয়া পানি নদীর দুই তীর উপচে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এতে কালকিনি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে পানের বরজে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি প্রণোদনার দাবি পানচাষিদের। কিন্তু কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, পানচাষিদের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে নাকি।
পানচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানান যায়, গেল কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা ঢলে কালকিনি পৌরসভার দক্ষিণ রাজদী, উত্তর রাজদী, পাতাবালি ঠেঙ্গামারা, বাশঁগাড়ি, এনায়েতনগর, রমজানপুরসহ অন্তত ১১টি ইউনিয়নে ফসলি জমিতে পানি উঠেছে।
এসব এলাকার পানের বরজে পানি ঢুকে গেছে। এ ছাড়া এসব এলাকার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। রোপা আমন ধানের চারা এখন পানিতে তলিয়ে আছে। তবে এসব অঞ্চলের প্রধান কৃষি ফসল পানের বরজে পানি ঢুকে ক্ষতির পরিমাণটা বেশি হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের।
কালকিনি পৌরসভার উত্তর রাজদী গ্রামের পানচাষি ইকবাল হাওলাদার বলেন, ‘কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পানের বরজে উজানের পানি ঢুকছে। সেচ পাম্প দিয়া বরজ থেইকা পানি সরানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু পানির চাপ অনেক বেশি।
‘আমার দুই বিঘা জমির পানের বরজ নষ্ট হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে লোকজন এসেও দেখে যায় নাই। এমনিতে একটু উচুঁ জমিতে পান চাষ করা হলেও পানি বেশি হওয়ায় ক্ষতিটা হয়েছে।’
পানচাষি মজিবুর শেখ বলেন, ‘আমাদের পানের যে ক্ষতি হয়েছে তাতে সরকার যদি আমাদের দিকে না তাকায় তাইলে আমরা শেষ। আমাদের এলাকা পান চাষ করেই টিকে আছি। যদি আমরা আর চাষ না করতে পারি তাইলে এই অঞ্চলে আর পানচাষি থাকবে না।’
সরকারি সহযোগিতার জন্য একই কথা বলেন আরও কয়েকজন পানচাষি।
এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস জানান, কালকিনি উপজেলায় মূলত পান আবাদ করা হয়। উপজেলায় এ বছর ১৯০ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হয়েছে। সম্প্রতি বন্যায় পানের বরজসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তবে পানের বরজ একটু উচুঁ জমিতে হওয়ায় তেমন প্রভাব পড়বে না। তারপরেও চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাদের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।