বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন খাত

  •    
  • ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৯:৩৩

করোনার বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ছেন পর্যটকরা। দেশের পর্যটন এলাকাগুলোয় উপচে পড়া ভিড়। পর্যটক ফেরায় এই খাতসংশ্লিষ্টদের মুখে হাসিও ফিরেছে। যে খাত পথে বসার উপক্রম হয়েছিল, সেই খাত নিয়ে আবারও আশাবাদী হয়ে উঠেছেন সংশ্লিষ্টরা।

করোনাভাইরাসের কারণে গভীর সংকটে পড়েছিল দেশের পর্যটনশিল্প। প্রায় দেড় বছরের দীর্ঘ অচলাবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়ে সম্ভাবনাময় এই খাত। মানুষের আয় কমে যাওয়া, প্রণোদনা নিয়ে জটিলতাসহ নানা কারণে এই খাতের পুনর্জাগরণ নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন উদ্যোক্তারা।

তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটনশিল্প। সরকারি প্রণোদনা কিংবা বড় বড় বিনিয়োগ নয়, বরং সাধারণ পর্যটকরাই চাঙা করে তুলছেন এই খাত। করোনার বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পরই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ছেন পর্যটকরা। দেশের পর্যটন এলাকাগুলোয় উপচে পড়া ভিড়।

পর্যটকদের কাছে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় জায়গা চট্টগ্রাম ও সিলেট। এই দুই বিভাগের বিভিন্ন জেলায় সারা বছরই পর্যটক সমাগম লেগে থাকে। তবে করোনার বিধিনিষেধ ওঠার পর পর্যটকদের ঢল আরও বেড়েছে। ঘরবন্দি থেকে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষ দীর্ঘদিন পর মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছেন।

কক্সবাজারের সমুদ্র, বান্দরবানের পাহাড়, সুনামগঞ্জের হাওর কিংবা সিলেটের টিলা ও জলাবন– সবখানেই এখন পর্যটকদের ভিড়। ছুটির দিনগুলোতে এসব জায়গায় জট লেগে যায়।

পর্যটক ফেরায় এই খাতসংশ্লিষ্টদের মুখে হাসিও ফিরেছে। টাঙ্গুয়ার নৌকাচালক, জাফলংয়ের ফটোগ্রাফার, বিছনাকান্দির প্রসাধনসামগ্রী বিক্রেতা থেকে শুরু করে বড় রিসোর্টের উদ্যোক্তারাও এখন দুর্দিন কাটিয়ে উঠছেন। তবে সব জায়গাতেই উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। উপেক্ষিত থাকছে পরিবেশের সুরক্ষা।

অবাধে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেয়ে পর্যটকরা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। বেশির ভাগই পরছেন না মাস্ক। আবার বন-হাওর-নদী-সমুদ্রে দল বেঁধে হইহুল্লোড় করে, শব্দযন্ত্র ব্যবহার করে গান বাজিয়ে আর ময়লা-আবর্জনা ফেলে পর্যটকরা নষ্ট করছেন পরিবেশ। ফলে করোনাকালীন পর্যটনকেন্দ্রগুলোর পরিবেশের উন্নতি হলেও বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর তা আবার হুমকিতে পড়েছে।

এসব প্রসঙ্গে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, পর্যটনকেন্দ্রগুলো আবার পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। তবে সবাইকেই পরিবেশের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে হবে। প্রশাসনের তরফ থেকেও এ ব্যাপারে কঠোর নজরদারি থাকবে।

চট্টগ্রাম

গত আগস্টে পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার পর থেকেই চট্টগ্রামে ক্রমান্বয়ে বাড়তে শুরু করেছে পর্যটক সমাগম। তাতে চাঙা হয়ে উঠেছে পর্যটন ব্যবসা। প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে খাতসংশ্লিষ্টদের মাঝেও।

মূলত সেপ্টেম্বর মাস থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে শুরু হয় পর্যটন মৌসুম, চলে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরই মধ্যে পাহাড়ি তিন জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের প্রায় সব পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রে ভ্রমণপিপাসুদের সমাগম বাড়তে শুরু করেছে।

রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালি, পলওয়েল পার্ক, সুবলং ঝরনা, খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহা, বান্দরবানের নীলাচল, নীলগিরি, কক্সবাজারের সৈকত, হিমছড়ি, রামু, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা, ফয়’স লেকসহ অন্যান্য পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা।

ঢাকা থেকে বান্দরবানে বেড়াতে আসা কনক হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লকডাউনে একপ্রকার ঘরবন্দি ছিলাম। এর মধ্যে করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছি। জীবনটা বিষণ্ন হয়ে উঠছিল। তাই পাহাড় দেখতে এলাম। বিশাল পাহাড় মানসিকতা পরিবর্তন করে দেয়।’

দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থেকে অবসাদে ভুগছিলেন সেলিম উদ্দিন। ঘুরতে এসেছেন রাঙ্গামাটির সাজেকে।

সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘করোনায় বাসাবাড়িতে বন্দি থেকে মানসিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছি। সেই অবসাদ কাটাতে সাজেক এলাম। সাজেকের প্রেমে আমরা মুগ্ধ।’

খাগড়াছড়িতে বেড়াতে আসা খুলনার বাসিন্দা সুমন মজুমদার বলেন, ‘দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। সেই ছুটিতে পাহাড়ে এসে ঘুরে বেড়ালাম। ঝরনার জলধারায় শরীর জুড়ালাম। মনটা শান্তিতে ভরে গেল।’

কক্সবাজারে সৈকতে বেড়াতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সুলতান আহমদ বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে বছরে কয়েকবার সমুদ্র দেখতে আসি। করোনার কারণে সেটি হয়ে উঠছিল না। অনেক দিন পর সুযোগ পেয়ে সৈকতে চলে এলাম।’

এদিকে পর্যটন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু হোটেল-মোটেল মালিকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

রাঙ্গামাটির হোটেল প্রিন্সের স্বত্বাধিকারী নেছার উদ্দিন বলেন, ‘করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে আমরা চেষ্টা করছি। মোটামুটি পর্যটকদের রাঙ্গামাটিতে সমাগম বাড়ছে। আশা করছি, শীত বাড়লে পর্যটক আরও বাড়বে।’

পর্যটক সমাগমে সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে বান্দরবানের হোটেল লেক সিটির স্বত্বাধিকারী জাফর আহমদ বলেন, ‘বান্দরবানে প্রতিদিনই কমবেশি পর্যটক আসেন। তবে শুক্র-শনিবারে এ সংখ্যা বেড়ে যায়। যেভাবে পর্যটকরা আসছেন, আমরা সন্তুষ্ট।’

এদিকে চট্টগ্রামে দূরদূরান্ত থেকে পর্যটক তেমন না এলেও স্থানীয় বিনোদনপ্রেমীরা পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন প্রতিনিয়ত। নগরের ফয়’স লেক, পতেঙ্গায় প্রতিদিন বিনোদনপ্রেমীদের ভিড় লেগে থাকছে।

পতেঙ্গা এলাকার ব্যবসায়ী আল আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লকডাউনে সৈকত বন্ধ ছিল। এখন চালু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন পিকনিক বাস আসছে। আমরা এখন ভালো আছি।’

ফয়’স লেক কনকর্ডের ব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘লকডাউনের সময় কর্মীদের বেতন দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। তবু আমরা টিকে আছি। এখন লোকসমাগম বেড়েছে। এভাবে চললে আমরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারব।’

তবে করোনার ক্ষতি দ্রুত পোষানো সম্ভব নয় জানিয়ে কক্সবাজারের ‘হোটেল লেক ভিউ’-এর স্বত্বাধিকারী রায়হান উদ্দিন বলেন, ‘করোনার কারণে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, সেটি পোষানো সম্ভব নয়। তবে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর আবার পর্যটন খাত চাঙা হয়ে উঠেছে। আসছে শীত মৌসুমে আশা করি ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে ওঠা যাবে।’

কক্সবাজার হোটেল মালিক সমিতির নেতা এস এম কিবরিয়া বলেন, কক্সবাজারে এখন সব হোটেলে পর্যটকরা উঠছেন। অনেকেই অগ্রিম বুকিং মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। বলা যায়, করোনার ধাক্কা সামলে কক্সবাজার মোটামুটি চাঙা হয়ে উঠেছে।

সিলেট

চট্টগ্রামের মতো সিলেটেও সারা বছর পর্যটক সমাগম থাকে। তবে এখানে পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি আসেন বর্ষায়।

এখানকার হাওর, ঝরনা, পাথুরে নদী আর জলার বন বর্ষাকালেই দেখা দেয় সবচেয়ে মনমুগ্ধকর রূপে। বর্ষায় সিলেট অঞ্চলের চা-বাগানগুলো হয়ে ওঠে আরও সজীব। তবে এবার বর্ষার প্রায় পুরোটা কেটেছে ঘরবন্দি হয়ে করোনার বিধিনিষেধে।

বর্ষা শেষ হলেও সিলেটে এখনও অব্যাহত আছে বৃষ্টি। ফলে এখনও জলে টইটুম্বুর হাওর আর নদী, পাহাড়ের গায়ের ঝরনাগুলোও এখনও দৃশ্যমান। পাথুরে নদীতেও সাঁতার কাটা যায় অনায়াসে। ফলে পর্যটকরাও এই সময়ে ভিড় করছেন সিলেটের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে।

এখন পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি ভিড় করছেন সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে। এ ছাড়া সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর ও নগরের চা-বাগানগুলোতে প্রতিদিনই পর্যটকদের সমাগম হচ্ছে।

মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, শ্রীমঙ্গলের চা-বাগান, বড়লেখার মাধবকুণ্ড, কমলগঞ্জের হামহাম জলপ্রপাত, হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানেও বিধিনিষেধ ওঠার পর থেকে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। বিশেষত শ্রীমঙ্গলে পর্যটক সমাগম হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। ছুটির দিনগুলো ছাড়াও অন্যান্য দিনেও এই উপজেলার হোটেল-রিসোর্টে কক্ষ খালি মিলছে না।

নগরের আম্বরখানা এলাকার ব্রিটানিয়া হোটেল অ্যান্ড পার্টি সেন্টারের কর্মকর্তা কাওসার চৌধুরী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ প্রায় তিন মাস হোটেল বন্ধ রাখা হয়েছিল। বড় অঙ্কের ক্ষতি গুনতে হয়েছে। এখন পুরোদমে চালু রয়েছে। অতিথিরাও আসছেন। এখন ছুটির দিনগুলোতে হোটেলে কক্ষ খালি থাকে না।’

গত শুক্রবার সকালে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি ও বিকেলে রাতারগুল গিয়ে দেখা যায়, দুই জায়গায়ই পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। পাহাড় থেকে নেমে আসা বিছনাকান্দির পাথুরে নদীতে গা ভেজাচ্ছে নানা বয়সী মানুষ। আবার রাতারগুলে গিয়ে দেখা যায়, নৌকায় চড়ে এই জলার বন ঘুরে দেখছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিছনাকান্দিতে ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অমিত রায়হান বলেন, ‘অনেক দিন ধরে ঘরে আটকে থেকে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। এখন পর্যটনকেন্দ্র খোলায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেয়েছি। তাই সুযোগ পেয়েই ছুটে এসেছি।’

সিলেটের রাতারগুলের নৌকাচালক সামছু মিয়া। সাহের বাজার থেকে নৌকায় করে পর্যটকদের রাতারগুল জলার বন ঘুরিয়ে আনেন তিনি।

সামছু মিয়া বলেন, ‘অনেক দিন পর আবার পর্যটকরা এখানে আসা শুরু করেছেন। দীর্ঘদিন বেকার থাকার পর আবার কাজ শুরু করেছি।’

ছুটির দিনগুলোতে রাতারগুলে দেড় থেকে দুই হাজার পর্যটক সমাগম হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ রকম দিনে আমি প্রতিদিন ৩-৪ হাজার টাকা রোজগার করতে পারি। তবে টাকার বেশির ভাগ অংশই ঘাটের ইজারাদারকে দিয়ে দিতে হয়।’

শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরের শাহজালাল (রহ.) মাজার ও লাক্কাতুরা চা-বাগানেও পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়। এসব এলাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় পর্যটকদের।

লাক্কাতুরায় বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের টাকার বিনিময়ে ছবি তুলে দেন সুয়েব আহমদ। তিনি বলেন, গত চার মাস এখানে কেউ আসেনি। ফলে কোনো আয়ও হয়নি। এখন মাসখানেক ধরে মানুষজন আসছে।

তার আক্ষেপ, সবার হাতে স্মার্টফোন থাকায় এখন লোকজন আগের মতো ছবি তোলাতে চায় না।

পর্যটক সমাগম বাড়ায় প্রায় দেড় বছর পর ব্যবসা চাঙা হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের হিমাচল রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী সাজু আহমদ।

তিনি বলেন, ‘যে ক্ষতি হয়েছে তা সহজে পুষিয়ে নেয়ার নয়। তবে এখন প্রচুর লোকজন ঘুরতে আসছেন। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না পারলেও পর্যটকদের কারণে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছি।’

তবে পর্যটক সমাগম বাড়ার পেছনে ভিন্ন এক যুক্তি দিয়েছেন সিলেট চেম্বার অফ কমার্সের সহসভাপতি ও হোটেল নির্ভানা ইন-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহমিন আহমদ। তিনি বলেন, ভারতের ভিসা বন্ধ থাকায় এখন দেশের ভেতরেই ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে অনেককে।

তার দাবি, আগে পর্যটকরা সিলেটে এসে থাকতেন না। সিলেট হয়ে ভারতের মেঘালয়ে চলে যেতেন। এখন ভারতে পর্যটন ভিসা বন্ধ থাকায় তারা যেতে পারছেন না। ফলে দেশের ভেতরেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা।

দুই সপ্তাহ ধরে জাফলংয়ে পর্যটক সমাগম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ জাফলং সাব-জোনের পরিদর্শক মো. রতন শেখ। তিনি বলেন, ‘জাফলংয়ে এখন প্রচুর পর্যটকরা আসছেন। তাদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আমরা সহযোগিতা করছি।’

সিলেট বিভাগে পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই পর্যটকনির্ভর। করোনার সময়ে একেবারে অতিথিশূন্য হয়ে পড়েছিল এসব হোটেল-রিসোর্ট। তবে এখন আবার অতিথিরা আসতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সিলেটের সভাপতি সুমাত নুরী জুয়েল।

তবে ব্যবসা এখনও আগের অবস্থানে ফেরেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষের আয় কমে গেছে। ফলে এখন যারা বেড়াতে আসছেন, তারা কম খরচে থাকতে চাচ্ছেন। এতে করে একটু ভালো মানের হোটেলগুলোতে অতিথি কম আসছেন। তাদের বিভিন্ন ছাড় দিয়ে অতিথি আকর্ষণ করতে হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর