বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পিবিআই সফল হলো, পুলিশের অন্যরা কেন ব্যর্থ?

  •    
  • ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২৩:০০

এক অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহের পরিচয় উদঘাটনে নেমে পিবিআই যেখানে সফল হয়েছে, থানা পুলিশ ও সিআইডি ব্যর্থ হলো কেন? পুলিশের তদন্তের পদ্ধতি কি তারা সঠিকভাবে প্রয়োগ করেনি? তাদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ছিল?

গাবতলীতে বাসে এক পরিত্যক্ত ট্রাংকে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ। তার পরিচয় বের করাই তদন্তের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। চার বছর ধরে তদন্ত চালিয়েও থানা পুলিশ ও সিআইডি বের করতে পারেনি তরুণীর পরিচয়।

পুলিশের আরেকটি বিভাগ পিবিআই দায়িত্ব পেয়ে অল্প কিছু দিনের মধ্যে শুধু তরুণীর পরিচয়ই উদঘাটন করেনি, হত্যাকারীকেও গ্রেপ্তার করেছে।

প্রশ্ন হলো, এটি কি পুলিশের সাফল্যের নাকি ব্যর্থতার কাহিনি? পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) যেখানে সফল হলো, থানা পুলিশ ও সিআইডি ব্যর্থ হলো কেন? পুলিশের তদন্তের পদ্ধতি কি তারা সঠিকভাবে প্রয়োগ করেনি? তাদের দায়িত্ব পালনে কি গাফিলতি ছিল?

সিআইডি বলছে, অজ্ঞাত তরুণীর ট্রাঙ্কবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের পরিচয় উদঘাটনে যে যে স্ট্যান্ডার্ড প্রক্রিয়া অনুসরণীয়, তার সবকটি ধাপই তারা অনুসরণ করেছে। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি। একই পদ্ধতি অনুসরণ করে সফল হয়েছে পিবিআই।

থানা পুলিশ বলছে, তারাও চেষ্টা করেছে। কিন্তু সময়ের স্বল্পতা ও অন্যান্য কিছু কারণে তারা তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি। পরিচয় না পাওয়ায় আসামিকেও বের করা সম্ভব হয়নি।

ছয় বছর আগে যা ঘটেছিল

২০১৫ সালের ৩ মে বিকেলে ঈগল পরিবহনের গাবতলী কাউন্টারে একটি ট্রাংক থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে দারুসসালাম থানা পুলিশ। বাসটি এসেছে চট্টগ্রাম থেকে। ট্রাংকটিও সেখান থেকে আসা।

ট্রাংকটি ওইদিন সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রামের এ কে খান মোড়ে এক ব্যক্তি তুলে দিয়েছিলেন ওই বাসে। ওই ব্যক্তি একটি টিকিট কেটে বলেছিলেন, পরবর্তী স্টপজে এক নারী যাত্রী উঠবেন। ওই নারী যাত্রী এই ট্রাংকসহ ঢাকা যাবেন। কিন্তু পরের স্টপেজে কোনো যাত্রী ওঠেনি। মালিকবিহীন অবস্থায় ট্রাংকটি এসে পৌঁছায় গাবতলীতে।

ট্রাংকটি অনেক ভারি হওয়ায় সন্দেহ হয় হেলপার ও অন্যদের। তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ট্রাংকের তালা ভেঙ্গে তরুণীর মরদেহ পায়। তাৎক্ষণিক ওই মরদেহের কোনো পরিচয় না পাওয়ায় অজ্ঞাত লাশ হিসেবে তা সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে সেচ্চাসেবী প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করে।

দারুসসালাম থানার এসআই জাহানুর আলী বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা করেন। প্রথমে এই মামলা থানা পুলিশই তদন্ত করে। তদন্তে করতে গিয়ে তারা কী কী করেছিল, কোন কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল, তা এখনকার দারুস সালাম থানা জানাতে পারেনি।

তারা বলছে, অনেক আগের ঘটনা। তখনকার দায়িত্বশীলরা এখন অন্যত্র বদলি হয়েছেন। এ কারণে তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারছেন না।

এ মামলার তিন মাস পর তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি ঢাকা মেট্রোর পশ্চিম বিভাগ। তারা চার বছর ধরে তদন্ত করে।

সিআইডি অপরাধ তদন্তে পুলিশ বাহিনীর সবচেয়ে প্রশিক্ষিত ও সরঞ্জাম সমৃদ্ধ বিভাগ। তারা অজ্ঞাত তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করতে ফরেনসিক টিমের সহায়তায় ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করেছে। সে ফিঙ্গারপ্রিন্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারে মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করেছে। সেখান থেকে কিছু পাওয়া যায়নি।

একই সঙ্গে চট্টগ্রামের যে এলাকা থেকে ট্রাংকটি বাসে উঠিয়ে দেয়া হয়, সেই এলাকার বিভিন্ন থানায় ওই সময়ে দায়ের হওয়া নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরিগুলোর খোঁজ করেছে সিআইডি। সেখানেও কিছু পাওয়া যায়নি। নিহত তরুণীর ছবি ওই এলাকার বাসিন্দাদের দেখানো হয়। কেউ ছবি দেখে তরুণীকে চিনতে পারেনি।

তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করতে সিআইডির নিজস্ব সাময়িকীতে ছবিসহ পোস্টার প্রকাশ করা হয়। ডিজিটাল ও ম্যানুয়াল পদ্ধতি দুটোই প্রয়োগ করে তরুণীর পরিচয় এবং তার হত্যাকারীকে বের করার চেষ্টা করা হয় বলে সিআইডির পক্ষ থেকে নিউজবাংলাকে জানানো হয়। দীর্ঘ সময়েও কোনো অগ্রগতি করতে না পারায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় তারা।

সিআইডি পারেনি, পিবিআই পেরেছে – এমনটা মানতে নারাজ সিআইডি ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এমন অনেক উদাহরণ আছে, যেটা অন্য সংস্থা পারেনি, কিন্তু সিআইডি উদঘাটন করেছে। পরিচয় শনাক্তে আমরা ডিজিটাল ও ম্যানুয়াল দুই পদ্ধতিতেই চেষ্টা করেছি, সিআইডি সেটা করে থাকে।’

যেভাবে সফল হলো পিবিআই

আদালতের নির্দেশে পিবিআই মামলাটি তদন্তভার পায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। এটির শীর্ষ কর্মকর্তা ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদারের নির্দেশনায় মামলাটি তদারকি করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। আর মামলাটি তদন্ত করেন পরিদর্শক আশরাফুজ্জামান।

চার বছরের বেশি সময় আগের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তিনি কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছেন, তা নিয়ে রোববার কথা হয় বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম ও আশরাফুজ্জামানের সঙ্গে। তারা তরুণীর পরিচয় শনাক্ত এবং জড়িত হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারে তাদের নানা কৌশল অবলম্বনের কথা জানিয়েছেন।

সিআইডি যে পথে হেঁটে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে, সেই একই পথে পিবিআইও হেঁটেছে। তবে ‘সময় ও ধৈর্য্য’ নিয়ে বিস্তৃত পরিসরে অনুসন্ধান চালানোয় সফলতা এসেছে বলে মনে করেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

নিখোঁজ জিডিতেই আটকে ছিল জট

ঢাকায় অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ উদ্ধার হয় ২০১৫ সালের ৩ মে। সাধারণত কাউকে খুঁজে পাওয়া না গেলে যে এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হয়েছেন, সেই এলাকার থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়। আর এই নিখোঁজ ডায়েরিটা নিখোঁজ হওয়ার পর কাছাকাছি সময়েই হয়ে থাকে। কিন্তু এই তরুণী নিখোঁজ হওয়ার এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে ১০ জুলাই পাহাড়তলী থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়।

এই দীর্ঘসূত্রতার কারণেই বাধে বিপত্তি। থানা পুলিশ ও সিআইডি নিখোঁজ সংক্রান্ত জিডি খুঁজেছে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার পরবর্তী এক মাসের বেশি সময়ের ব্যাপ্তিতে। তাতে কিছু পাওয়া যায়নি।

কিন্তু পিবিআই এক মাসের ব্যাপ্তিতে সীমাবদ্ধ থাকেনি। তারা আরও বড় সময়ের ব্যাপ্তির সব নিখোঁজ জিডি সংগ্রহ করেছে। বিচক্ষণতার সঙ্গে সময় নিয়ে জিডিগুলো সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে বলে জানান মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘আমি চট্টগ্রামে গিয়ে ৭ দিন সেখানে অবস্থান করে আশপাশের ১৪টি থানার জিডি সংগ্রহ করে সেগুলো বিশ্লেষণ শুরু করি। বাকি থানাগুলো জিডি পরবর্তী সময়ে সংগ্রহের টার্গেট ছিল। ১৪ থানার জিডিগুলোর মধ্যে কয়েকটি নিখোঁজের ডায়েরি পাওয়া যায়।’

আশরাফুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ওই সময়ে যেগুলো মিসিং ডায়েরি পেয়েছিলাম, সেখান থেকে প্রথম দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি, যাদের নিখোঁজের বিষয়ে ডায়েরি হয়েছিল, তাদের পাওয়া গেছে। তৃতীয় জিডিটির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারি, তরুণীটি এখনও নিখোঁজই রয়েছে। গাবতলীতে ‍উদ্ধার হওয়া তরুণীর সঙ্গে নিখোঁজ তরুণীর বর্ণনা মিলে যায়।

‘তখনই আমরা জানতে পারি, উদ্ধার হওয়ার তরুণীর নাম শম্পা বেগম। এবং পরবর্তীতে তাকে হত্যায় জড়িত কে বা কারা তা তদন্ত করে অপরাধীকে গ্রেপ্তার করি।’

মামলাটির তদারকি কর্মকর্তা বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শম্পা নিখোঁজের বিষয়টি তার পরিবার জানতে পারে হত্যাকাণ্ডের একদিন পর। শম্পার পরিবারকে আসামী স্বপন জানান যে, শম্পা খুলনা যাওয়ার জন্য বাসে রওনা হয়েছে। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও শম্পা আর পৌঁছায়নি। খুলনায় না যাওয়ায় খোঁজাখুজি শুরু হয়। আত্মীয়-স্বজন ও নানান জায়গায় খোঁজার পর শম্পার ভগ্নিপতি চট্টগ্রামে এসে পাহাড়তলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।’

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সাধারণত অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের কয়েক দিনের মধ্যে হওয়া জিডিগুলো খুঁজে দেখা হয়। আমরা কাছাকাছি সময়ের জিডিগুলো বের করার পাশাপাশি এক মাসের বেশি সময় পর কোনো মিসিং জিডি হয়েছে কিনা তাও খুঁজে দেখেছি। আমরা বিস্তৃত সময় ধরে হওয়া জিডিগুলো অনুসন্ধান করতে গিয়ে সফল হয়েছি।’

শম্পার পরিচয় শনাক্তের পর আসামি গ্রেপ্তারেও যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয়েছে বলে জানান পিবিআই-এর এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আসামি স্বপনকে শম্পার পরিবার মেয়ের স্বামী হিসেবে জানত। শম্পা তার পরিবারকে জানিয়েছিলেন, স্বপনকে তিনি বিয়ে করেছেন। কিন্তু মূলত তারা বিয়ে করেননি। আমরা তদন্ত করতে গিয়ে স্বপনের ঠিকানা চাইলে শম্পার পরিবার তা যথাযথভাবে দিতে পারেনি। কারণ তাদের কাছে তা ছিল না। আমরা বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে আসামির স্থায়ী ঠিকানা পাই। কিন্তু ওই ঠিকানায় আসামি স্বপন থাকতেন না। থাকতেন কুমিল্লা ইপিজেড এলাকায়। সেখান থেকে তাকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই আমরা। স্বপন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।’

কেন শম্পাকে হত্যা

স্বপনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, শম্পাকে চট্টগ্রাম পাহাড়তলীর গ্রিনভিউ এলাকার একটি বাসায় ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ২ মে গভীর রাতে তাকে হত্যা করেন স্বপন।

২০১৩ সালে খুলনা নৌঘাঁটিতে ল্যান্স করপোরাল (মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট) হিসেবে কর্মরত ছিলেন স্বপন। শম্পার বাবা ইলিয়াস শেখ অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। শম্পার মা চিকিৎসা করাতে গেলে স্বপনের সঙ্গে শম্পার পরিচয় হয়।

পিবিআই জানায়, এই পরিচয়ের সূত্রে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক হয়। এক সময় স্বপনে বিয়ের জন্য চাপ দেন শম্পা। স্বপন আগে থেকে বিবাহিত ছিলেন এবং তার সংসারে এক সন্তান ছিল, যা তিনি শম্পার কাছে গোপন করেন। বিয়ের চাপ দেয়ায় স্বপন খুলনা থেকে বদলি হয়ে চট্টগ্রামে চলে আসেন।

এরপর শম্পাও চট্টগ্রামে আসেন। চট্টগ্রামে এক ফুফুর বাসায় কিছু দিন থাকেন শম্পা। এরপর ফয়েজ লেক এলাকায় একটি হোটেলে কিছুদিন অবস্থান করেন তিনি। পরবর্তীতে পাহাড়তলীর উত্তর গ্রিনভিউ আবাসিক এলাকায় একটি বাসায় সাবলেট নিয়ে এক সঙ্গে থাকা শুরু করেন দুজন। তখন শম্পা তার পরিবারকে জানান স্বপনকে তিনি বিয়ে করেছেন, যদিও তারা বিয়ে করেননি।

এভাবে তারা ২০১৪ সাল থেকে ২০১৫ সালের ২ মে পর্যন্ত একত্রে বসবাস করছিলেন। এক সময় শম্পা বিয়ের জন্য রেজাউল করিম স্বপনকে চাপ দেন। এ নিয়ে দুজনের ঝগড়া হয়।

এরই এক পর্যায়ে ২০১৫ সালের ২ মে গভীর রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শম্পাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্বপন। মরদেহ গোপন করার জন্য শম্পার মরদেহ একটি ট্রাংকে ঢুকিয়ে ঈগল পরিবহনের একটি বাসে তুলে দেন তিনি এবং কৌশলে শম্পার বাবাকে জানান, শম্পাকে খুলনার বাসে তুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে শম্পা তার বাবার বাড়িতে না পৌঁছলে বাড়ির লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ১০ জুন পাহাড়তলী থানায় জিডি করা করেন।

এদিকে জিডি করার পাশাপাশি নিখোঁজ মেয়ের সন্ধান চেয়ে স্বপনের কর্মস্থল চট্টগ্রাম নৌ বাহিনীর অফিস এবং সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন শাখায় অভিযোগ করেন শম্পার বাবা ইলিয়াস শেখ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই দফা অভিযোগ করেও মেয়ের সন্ধান পাইনি। তবে দ্বিতীয়বার অভিযোগের পর স্বপনের পদের অবনতি করা হয়। কিন্তু আমার মেয়েকে আর পাইনি। ২০১৯ সালে স্বপনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তবে আমার মেয়ের সন্ধান দিতে পারেনি কেউ। পিবিআই ২২ সেপ্টেম্বর আমার বাড়িতে গেলে আমার মেয়ের বিষয়ে প্রথম কোনো খবর পাই।’

এ বিভাগের আরো খবর